এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১১নং পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা সিফাত আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য প্রদানে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্নবতী গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে সালমান মোল্লার থেকে ৫ হাজার ২ শত টাকা, ৩নং ওয়ার্ডের আলীঠাপাড়া গ্রামের ওমর শেখের ছেলে ইয়ামিন শেখের থেকে ১ হাজার একশত টাকা, আলম শেখের মেয়ে জান্নাতি খানমের থেকে ১ হাজার টাকা, নাজমুল শেখের মেয়ে নাহিদা খানম ও নাইমা খানম দুই জনার থেকে ২ হাজার তিনশত টাকা, আবুল কালামের ছেলে ফাহিম শেখের থেকে ১ হাজার টাকা করে, জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়েছেন উদ্যোক্তা সিফাত আহম্মেদ।
এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক অভিভাবক বৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন- জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া ছেলে মেয়েদেরকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। অন্যদিকে জন্ম নিবন্ধন সনদ আনতে পরিষদে গেলে হয়রানির স্বিকার হতে হয়, সিফাত আহম্মেদ হাজার হাজার টাকা চায়। এছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিশু ও অভিভাবকদের বেলা ১২টার সময় ও ঐ ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
তারা বলেন- আমরা সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বসে আছি। এই তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা এখনও পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে আসেননি, আমারা না খেয়ে তার অপেক্ষায় বসে আছি।
তারা আরও বলেন- আমাদের কাছে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টাকার চেয়ে ও অতিরিক্ত টাকা দাবি করে, যার কারনে আমাদের হয়রানির স্বিকার হতে হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই, শিশু বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া স্কুলে ভর্তিও করাতে পারছি না। এ ব্যাপারে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সিকদার আলাপ কালে বলেন- উদ্যোক্তা সিফাত আহম্মেদ এর দূর্নিতি ও অসৎ আচরনের কথা এলাকার জনগন আমাকেও বলেছে, আমি তার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ সময় অন্যান্য ইউপি সদস্য বৃন্দ ও উপস্থিত ছিলেন।