কোনোভাবেই যেন বার্সেলোনার জয়যাত্রা থামানো যাচ্ছে না। ছন্দে থাকা দুই সুপারস্টার লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেস একের পর এক ম্যাচে গোল করেই চলেছেন। এবার দুই তারকার শিকার হলো দেপোর্তিভো আলাভেস। রবিবার রাতের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে আর্নেস্তো ভালভের্দের দল। গত অগাস্টে দলটির মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল কাতালান জায়ান্টরা।
ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই বেশ লড়াকু ফুটবল খেলতে শুরু করে আলাভেস। ১৬তম মিনিটেই দারুণ এক আক্রমণ ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলকিপার টার স্টেগান। তবে ৭ মিনিট পর শেষরক্ষা হয়নি। মিডফিল্ডার ইবাই গোমেসের লম্বা পাস ধরে কোনাকুনি আক্রমণে অতিথিদের এগিয়ে দেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড ইয়োন গিদেত্তি।
গোল খেয়ে শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ৩০তম মিনিটে মেসির পাস ধরে বল গোলপোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ২ মিনিট পর সুযোগ হারান বার্সেলোনার জার্সিতে প্রথমবার শুরুর একাদশে নামা ব্রাজিল তারকা কুতিনহো। বিরতির ঠিক আগে মেসির দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন আলাভেস গোলকিপার ফার্নান্দো পাচেয়ো।
বিরতির পরও একের পর এক সুযোগ হারাতে থাকে মেসি-সুয়ারেসরা। শেষ পর্যন্ত ৭২তম মিনিটে আসে কাঙ্খিত গোল। বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার দারুণ ক্রস ডান দিকে পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে ভলিতে বল জালে জড়ান উরুগুয়ে সুপারস্টার লুইস সুয়ারেস। এই নিয়ে লিগে টানা ৮ ম্যাচে ১১ গোল করলেন তিনি। চলতি লিগে তার সর্বমোট গোল ১৬টি।
এরপর ৮৪তম মিনিটে মঞ্চে আবির্ভাব লিওনেল মেসির। চমৎকার ফ্রি কিকে জয়সূচক গোলটি করেন মেসি। দুর্দান্ত এই ফ্রি কিকে বল হাতে লাগাতে পারলেও জালে যাওয়া আটকাতে পারেননি পাচেকো। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, পাকো আলকাসেরকে ফাউলের জন্য ফ্রি কিক দেওয়া হয়েছিল। অথচ ফাউলের মুহূর্তে আলকাসের অফসাইডে ছিলেন। এবারের লিগে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের এটা ২০তম গোল।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ১৮ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল বার্সেলোনা।