সিদ্ধেশ্বরী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিল্টন বড়ুয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে এক আসামির ফাঁসি ও অন্যজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আসামি আলম ওরফে আফসারকে মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত এবং সহায়তা ও সহযোগী হিসাবে রুবেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলম শুরু থেকেই পলাতক। কারাগারে থাকা রুবেলকে আদালতে হাজির করা হয়। যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়ার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর মোটর সাইকেলে চড়ে বন্ধু রায়হানসহ বাসায় যাওয়ার পথে রমনা থানাধীন অফিসার্স ক্লাবের বিপরীতে বেইলি রোড মোড়ে রাত সাড়ে ৯টার সময় ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হন মিল্টন ও তার বন্ধু রায়হান।
চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল ও পরে হূদরোগ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১১টায় মিল্টন মারা যান।
এ ঘটনায় পরেরদিন মিল্টনের বাবা প্রতাপ বড়ুয়া রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার চার দিন পর ২৭ অক্টোবর রুবেলকে গ্রেপ্তারের পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।