বলিউডের অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে নানা সময় সম্পর্কে জড়িয়েছেন সালমান। সেসব এখন অতীত। বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, এখন এক রোমানিয়ান সুন্দরীর প্রেমে মজেছেন ভাইজান। তার নাম লুলিয়া ভান্তুর। পেশায় সঞ্চালক।
পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক বা ছুটি কাটানো, সালমান-লুলিয়াকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যায়। এই সম্পর্ক নিয়ে এতদিন খোলাখুলি কিছু জানাননি দু’জনের কেউ। তবে, এবার মুখ খুললেন লুলিয়া। কী বললেন তিনি? সেইসঙ্গে বলিউড ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আরও কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল লুলিয়াকে। সেইসব প্রশ্নেরই বা কী জবাব দিলেন তিনি?
ভারতে এসে কাজ করার কথা কোনওদিনই ভাবিনি। তাই, কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা কোনও পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল না। সালমান আমার ভালো বন্ধু। ও আমাকে গাইড করেছে আর গাইতেও উৎসাহ দিয়েছে। কোনওদিন ভাবিনি যে আমি হিন্দিতে গাইব।
কিন্তু, সালমান আমাকে ভরসা জুগিয়েছে। ওর জন্যই গাইতে শুরু করি। বলিউডে কাজ করার কোনও ভাবনাই ছিল না। তবে, চমক পেতে কার না ভালো লাগে।
এই গুজবটা আমার কানেও এসেছে। তবে, এর বেশিরভাগটাই সত্যি নয়। কিন্তু, অনেকের স্বভাব নানারকম গল্প তৈরি করা। তাদের তো আমি আটকাতে পারব না। সালমানকে আমি খুব সম্মান করি। আর সত্যি বলতে কী জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা আমি নিজেও জানি না।
এই তো তিন বছর আগেও কত পরিকল্পনা করেছিলাম। সবকিছু তো সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। আমাদের ইচ্ছায় সব হয় না। যা যখন হওয়ার তা হবেই।
আপনার জীবন আর স্ট্রাগল নিয়ে কী বলবেন? এখানে আমাকে কেউ চেনে না। এমনকী আমার নামটাও ঠিক করে জানে না। কিন্তু, রোমানিয়ায় আমি বিখ্যাত। ওখানে একজন নিউজ অ্যাঙ্কর হিসেবে অনেকটাই সম্মান পাই। আমার জীবন বা পরিশ্রম নিয়ে এখানে কেউই কিছু জানে না।
বছরের পর বছর যে কষ্টটা করেছি সেটাও কেউ জানে না। অনেকেই ভাবে বলিউডে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে আমি এসেছি। আসলে একেবারেই তা নয়। খ্যাতি আর প্রাচুর্যে ভরা জীবন আমি কাটিয়েছি। তাই, নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই। কোনওদিন ভাবিনি যে ভারতে আসব। কিন্তু, মন চেয়েছে, আর মনের কথা শুনেই আজ আমি এখানে।
রোমানিয়ান সঞ্চালক ও গায়িকা লুলিয়া আগেই কাজ করেছেন হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে। এবার মনীশ পল ও শচিন গুপ্তার সঙ্গে ‘হরযায়ি’ নামে একটি গানে কাজ করছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে লুলিয়া বলেন, মনীশ আর আমি খুব ভালো বন্ধু। দু’জনেই সঞ্চালক হওয়ার বন্ধুত্ব করতে সময় লাগেনি। ওই নিয়ে আমাদের অনেক কথা হয়। শচিন গুপ্তা আর পরিচালক সাবিনা খান আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন।
ওরা না থাকলে হিন্দি উচ্চারণ শিখতে পারতাম না। আর ভারতীয় ক্লাসিকাল মিউজিক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমার ইচ্ছা আছে, এরপর ভারতীয় ক্লাসিকাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করার।