আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেড় মাস ধরে এসএসসি পরীক্ষা আর আড়াই মাস ধরে এইচএসসি পরীক্ষা চলে। আমরা বলেছি, প্রশ্নপত্র আগে বিজি প্রেস থেকে ফাঁস হয়ে যেত। আমরা নানা ব্যবস্থা নেওয়ার পরে এখন তা হয় না। দীর্ঘদিন আমাদের পক্ষে প্রশ্নপত্র পাহারা দিয়ে রাখা কঠিন কাজ।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রশ্নপত্র যখন স্কুলে পৌঁছে দিই, তখন কিছু শিক্ষক রয়েছেন যাঁরা প্রশ্নপত্র বিলির আগেই প্রশ্নের প্যাকেট খুলে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং আধুনিক মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছে পাঠিয়ে দেন। এ কারণে আমরা বলেছি, এই পথটা বন্ধ করতে হবে। নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। এটাও বলেছি, আমরা বিটিআরসির সঙ্গে আলাপ করব, তারা কোনো সহযোগিতা করতে পারে কি না, একটি সীমাবদ্ধ সময়ের বন্ধ রাখতে পারেন কি না। এটা আমরা আলাপ করব। আমরা আলাপ করেছি, তারা বলেছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে এগুলো আসে। পরীক্ষার সময়টায় তারা (বিটিআরসি) লোক নিয়োগ করে রাখবে। এ ধরনের কিছু হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে জানাবে। যাতে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা তারা করবে। এ ক্ষেত্রে কী করতে পারবে তারা, ভেবে দেখবে। আমরা বন্ধ করে ফেলব, এটা বলতে পারি না। কারণ, এ ক্ষমতাও আমাদের নেই। আবেদন করেছি। উত্তর দিয়েছে তারা সহযোগিতা করবে। বন্ধ না করেও তারা অন্য পদ্ধতিতে করতে পারে। তারা বিবেচনা করবে সীমাবদ্ধ সময়ের জন্য করা যায় কি না। যেহেতু এই মাধ্যমগুলো অপরাধীরা কাজে লাগায়, সে কারণে এ রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা অবশ্যই জনগণের কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টির জন্য বলিনি। অপরাধীদের কী করে বিরত রাখা যায়, সেই উদ্দেশ্যে বলেছি।’
গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছিলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সীমিত সময়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফেসবুক বন্ধ রাখতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে।