মানুষ এখন মৃত্যুশয্যায় থাকা ব্যক্তির পাশেও সেলফি তোলে। উদ্ধার কাজে সহায়তা না করে সেলফি তোলে ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়েও। এগুলো কি কেবলই নিজের ছবি নিজে তোলা, নাকি অন্য কিছু? যুক্তরাজ্য ও ভারতের এক দল গবেষক জানাচ্ছেন, অতিরিক্তি সেলফি তোলা কেবল ব্যক্তির অভ্যাস নয়, এটি একটি মানসিক ব্যাধি। আর এই ব্যাধির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেলফিটিস’ এ ধরনের কথা অবশ্য ২০১৪ সালে বলেছিল ‘আমেরিকান সাইক্রিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন’।
তবে তাদের দাবির পেছনে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছিল না। কিন্তু এবার তা নিশ্চিত করলেন ‘নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি’ ও ‘থিয়াগারজার স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট’-এর গবেষকরা। তাদের গবেষণাপত্র সম্প্রতি ছাপা হয় ‘মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড অ্যাডিকশন’ সাময়িকীতে। তাতে গবেষকরা ‘বর্ডারলাইন’, ‘অ্যাকিউট’ ও ‘ক্রনিক’ নামে সেলফিটিসের তিনটি স্তরের কথা বলেছেন। বর্ডারলাইনে আছে তাঁরা, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট না করলেও দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তোলে।
অ্যাকিউট পর্যায়ে থাকা ব্যক্তি দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তোলে এবং সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে। আর ক্রনিক পর্যায়ে ব্যক্তি সারাদিন একের পর এক সেলফি তোলে এবং অন্তত ছয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে।
সেলফিটিসে ভোগা ব্যক্তির মধ্যে ছয় ধরনের মানসিক প্রবণতা খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। এগুলো হলো– আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণ, মনমেজাজ ভালো রাখা, চারপাশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা, চারপাশের সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা এবং নিজেকে প্রতিযোগী হিসেবে দেখা।