গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১৭৮নং লোহারংক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা ফিরোজা খানমের খুটির জোর কোথায়।
সরেজমিনে জানা যায়, সহকারী শিক্ষিকা ফিরোজা খানম স্কুলে বসে প্রাইভেট পড়ান, অর্থের বিনিময়ে বার্ষিক পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেন, তার কাছে প্রাইভেট পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ীতে গীয়ে প্রশ্ন দেখে পরীক্ষার খাতা সঠিক করে স্কুলে নিয়ে জমা দিতে বলেন, সরকারী বই বিতরনের সময় বার্ষিক ক্রিড়া-প্রতিযোগিতার নামে ৪০/৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে মোট ৮/১০ হাজার টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেন, বিদ্যালয়ের দলিল, ওয়েট মেশিন, রেজুলেশন, বৈদ্যুতিক তার, স্কুল ফিডিং এর বিস্কুট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন মালামাল আত্মসাৎ করেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে সহকর্মী ও ছাত্র অভিভাবক বৃন্দের সাথে এলাকার প্রভাব খাটিয়ে খারাপ আচারন করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবার হুমকি দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকবৃন্দ ঐ বিদ্যালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঐ শিক্ষিকার ভাড়াটিয়া কিছু লোকজন স্কুলের অন্য শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দের সাথে খারাপ আচারন করেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মূছা বিশ্বাস, সহ সভাপতি আ: রহমান, সদস্য হাফিজা বেগম, সদস্য শাহিদা বেগম, ছাত্র অভিভাবক সেকেন্দার আলী বিশ্বাস, মোহাম্মাদ আলী দাড়িয়া সহ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন- অভিযোগ গুলি সম্পূর্ন সত্য, এই স্কুলের পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নের সার্থে অভিযুক্ত সহ-শিক্ষিকা ফিরোজা খানম এর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন- তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।