রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ফার্মগেট। তিন দিক থেকে রাস্তা এসে মিলেছে এখানে। এখানে পুলিশ বক্সের সমানে দিয়ে গাড়ির গতি একটু কমতেই নিজের মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হলেন এক যুবক। প্রশ্ন করতেই বললেন, সরি, ভুল হয়ে গেছে।
ফার্মগেট ট্রাফিক সিগনালের দুই পাশে দুটি ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও ঝুকিপূর্ণভাবে রাস্তা পার হতে দেখা গেছে অনেককেই।এমনকি স্কুলগামী শিশুটিকে নিয়ে তার মাও করছেন এমন ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পারাপার।
এই ট্রাফিক সিগনালে মাত্র ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে দেখা গেছে অন্তত ২০ জন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তা পার হচ্ছেন। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এ আরেক মোটরবাইক আরোহী হেলমেটে মোবাইল ফোন ঢুকিয়ে কথা বলতে বলতে নির্দ্বিধায় ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনেই রাস্তা পার হচ্ছেন আর দিক থেকে প্রচন্ড গতিতে চলাচল করছিল বাস। এরকম হাজারো দৃশ্য চোখে ধরা পড়বে রাজধানীর রাজপথে বেরুলেই। প্রশ্ন করতেই নানা অজুহাত দিলেন একেক জন।
সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি জেনেও মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পার হওয়া যেন কোন বিষয়ই না অনেকের কাছে।
শুধু কি রাস্তা পার হওয়ার সময় কথা বলা। দেখা গেল গণপরিবহন থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গাড়ির চালকরাও মোবাইল ফোন কথা বলছেন আর গাড়ি চালাচ্ছেন।
এমনকি মটরসাইকেল চালকরাও হেলমেটের ভেতর ফোন আটকে চলন্ত অবস্থায় কথা বলেন, অনেকে গান শোনেন উচ্চ শব্দে। দায়সাড়া সহজ স্বীকারোক্তিও তাদের।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম গ্রাম বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিবেদক কে বলেন, এক দুই জনকে শাস্তি দিয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব না। এজন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
যারা এমন ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তা পার হন, তারাও এর বিপদ সম্পর্কে জানেন। তারপরও প্রতিনিয়ত চলছে এমন রাস্তা পারাপার।