দুই লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে সাভারে যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১০ নামের মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। আজ রাতে সাভার মডেল থানায় সন্ত্রাসী মোশারফ করিম অপুকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন করা হয়।
আসামীরা হচ্ছেন এলাকার চিহ্নিত ‘সন্ত্রাসী’ মোশারফ করিম অপু, মুলামদি মন্ডল, আরিফুল, ফরিদ, সুমন ও আলাউদ্দিন । নিহত যুবলীগে নেতার বাবা সইমুদ্দিন শিকদার। এদিকে শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাশ ময়না তদন্তের পরে দুপুরে বিরুলিয়ার দত্তপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দুপুরে তার জানাযায় সাভার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মন্ডল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন এই খুনের জন্য খুনিরা আগের থেকে অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত ছিল। কারণ আমার যুবলীগের নেতাকে এভাবে কুপিয়ে হত্যাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারে দাবি করছি। নিহত যুবলীগ নেতার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
এলাকাবাসী জানায় দুই লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে বিরুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর শিকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১১ টায় এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর শিকদার। এঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসী অপু ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। ছেলের অকাল মৃত্যুতে নিহত যুবলীগ নেতার বাবা মা ভাই বোন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। অবিলম্বে হত্যাকারীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে সন্ত্রাসীদের বাড়ি ঘরে কেউ যেন হামলা না করতে পারে সেজন্য ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার এস আই ইবনে ফরহাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হত্যাকারীদের আটক করতে পুলিশের চারটি টিম কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই হত্যাকারীরা পুলিশের জালে ধরা পড়বে।