নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি টানাবেন না। খারাপ লোকদের দলে টানবেন না। নমিনেশন জরিপ হচ্ছে। নেত্রীর কাছে জরিপ রিপোর্ট জমা আছে। প্রতি তিনমাস পর পর জরিপ রিপোর্ট যাচ্ছে। যিনি জনগণের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দিবেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জে স্থানীয় বিজয় মেলা মাঠে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনও ব্যক্তিকে দলে ঢোকানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হবে। সদস্য সংগ্রহের নামে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, মাদকাসক্তদেরও দলে নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আর সাত আট মাস পরেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ বছর সাম্প্রদায়িক অপশক্তি পরাজয়ের বছর। জনগণের ভোটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি আবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের নামে দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছে। দেখতে দেখতে তাদের আন্দোলন নয় বছর পার হয়ে গেছে। এখন আন্দোলনে ব্যর্থ্য হয়ে বিএনপি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন, আব্দুল মান্নান খান, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সদস্য আখতারুজ্জামান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সালাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহাবুবুর রহমান জনি, গোলাম মনির হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।