হানিমুনে হল স্বপ্নপূরণ পাওলি দামের

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

41

 

 

 

 

 

এই তো গত ডিসেম্বরের কথা। ব্যবসায়ী অর্জুন দেবকে বিয়ে করেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম। এরপর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে হানিমুনও সেরে ফেলেছেন নব দম্পতি। আর সেখানে গিয়ে তার স্বপ্নপূরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন নায়িকা। হানিমুন থেকে ফেরে আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাওলি দাম এমনটাই দাবি করেন।

পাওলি দাম বলেন, ১৭ শতাব্দীর বাড়ি আজও তারা (সুইজারল্যান্ড) একইভাবে রেখে দিয়েছে। বাড়ির মধ্যে তখনকার পশু খামার, আগুন পোহানোর রীতি দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, আমি অনেক পিছিয়ে নিজেকে দেখতে পাচ্ছি। কী সুখ যে ওখানকার মানুষের হাসিতে।ওখানে গিয়ে মনে হয়, চিন্তা, স্ট্রেস এগুলোও স্রোতের মতো। বরফ পাহাড় এগুলোকে নিজের কাছে জমিয়ে সব ভুলিয়ে দেয়।”

নায়িকা বলেন, সুইজারল্যান্ডের মানুষ ট্রেনে চাপতে বড় ভালবাসেন৷ ট্রেন ম্যানেজার পাইডার হেয়ার্টলির বরাত দিয়ে তিনি বলেন,‘‘ফুটবলে কোনো দিন বিশ্বকাপ না পেলেও রেল যাত্রার ক্ষেত্রে আমরাই চ্যাম্পিয়ন৷ এ নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি৷ অন্য কোনো দেশের মানুষ এত বেশি ট্রেনে চাপেন না৷ সবচেয়ে বড় ট্রেনের সুড়ঙ্গও এখানেই আছে৷’’

এই হনিমুনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তির কথা জানতে চাইলে পাওলি বলেন, “আমি বেড়াতে গিয়ে একটুও ডায়েট করিনি। সুইজারল্যান্ডে এসেছি আর চকলেট, চিজ খাব না! হতেই পারে না। প্রচুর খেয়েছি। মোটাও হয়েছি। ইচ্ছে হল তো সারাদিন ঘুমিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা তাঁর জন্য আমার কোনো পাপ বোধ নেই।”

নানা রকম চকলেটের দেশ সুইজারল্যান্ড। মন ভাল করা খাবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চকলেট। হেসে বললেন পাওলি, “তাহলে সুইজারল্যান্ডের মানুষ কেন সুখী হবে না, বলুন তো?”

বরফের মাঝে হারিয়ে যেতে গিয়ে নাকি ঘটেছিল বিপত্তি? মিডিয়া তো তোলপাড়! সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন নাকি আপনারা? পাওলি বললেন, “তেমন কিছুই না। দিন দুয়েক তুষারপাতের জন্য আমাদের রিসোর্টে আটকে থাকতে হয়েছিল। প্রথমে ভয় পেলেও পরে বেশ মজা পেয়েছি। ধুর সব কিছু প্ল্যান করে করায় মজা নেই…” রহস্য তাঁর গলায়। ঘরের চাবি বরফ পাহাড়ে রেখে যেন ইচ্ছে করেই অর্জুনের সঙ্গে নিজের রূপকথা তৈরি করছিলেন তিনি। সব কি আর বলা যায়! এক কথায় বললেন, “বেড়ানো নয়, এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার সময়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *