লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সংবাদ সংম্মেলন অনুষ্ঠিত

Slider রংপুর রাজনীতি

FB_IMG_1516710122187এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাট প্রতিনিধি;

বাংলাদেশ প্রতিদিন বর্জনের ঘোষণা। সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক এ্যাড.  মতিয়ার রহমান চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দাবী করে বলেন, ‘ভারতের হলদিবাড়ীতে মোতাহার হোসেনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুনের নামে কোনো বাড়ী বা জমি নেই। রাজধানী ঢাকার গুলশানে মোতাহার টাওয়ার নামেও কোনো কিছু নেই। যদি কেউ এসবের প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তিনি সেসব সম্পদ ওই ব্যক্তির নামে লিখে দেবেন এবং রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকারও করেছেন। এসময় মোতাহার হোসেনের কর্মময় বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ফিরিস্থিও তুলে ধরা হয়। এসময় লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাদল আশরাফ, অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন, হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, লালমনিরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে  জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা এক জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি ও তার পরিবারকে জড়িয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২১ জানুয়ারি ‘লালমনিরহাটে মোতাহার স¤্রাজ্য’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন ও কুরুচীপূর্ণ দাবী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিবাদ লিপি পাওয়ার পর তিন দিনের সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় তা প্রকাশ করা না করলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তাছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিদিন নামক পত্রিকাটি বর্জনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সংবাদের প্রতিবাদে পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে উত্তাল আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছেন। লালমনিরহাট পৌর আওয়ামী লীগও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বলেন, ‘মোতাহার হোসেন ছাত্র রাজনীতি, ৬৯-এর গণঅভ্যুথান, ৭০-এর নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাচে কমিশন লাভ করেন। তাঁর নেতৃত্বে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ বিগত দিনের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী ও গতিশীল হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন। তাছাড়া তাঁর নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা শাখার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যগণকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়ে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি মাসিক সভা করানো, সাংগঠনিক অবস্থা জেলা কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের সম্মেলন সমাপ্ত করে লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। ২০০১ সালে লালমনিরহাট-১(পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে বিরোধী দলীয় হুইপ, ২০০৯ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে একই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতির দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠার সাথে প্রাথমিক শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। লালমনিরহাট-১ আসন ছাড়াও জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করায় এবারও তিনি মনোনয়ন পেলে পূর্বের ভোটের ব্যবধানের তুলনায় আরো অনেক বেশি ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হবেন।’ মতিয়ার রহমান আরো বলেন, ‘তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর রাজউক কর্তৃক সরকারের দেওয়া ৫ কাঠা জমি পেয়েছেন, এতে এখনও কিছুই করতে পারেননি। তাঁর দ্বিতীয় ছেলে ইফতেখার হাসান মাসুদ তুরস্ক সরকারের বৃত্তি নিয়ে আইসিটি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স শেষ করে দেশে এসে ঢাকায় একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নিজস্ব আয় দিয়ে তিনি একটি ফ্লাটবাড়ী কিস্তিতে ক্রয় করেন। যার টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি। এমপি মোতাহার হোসেন পৈতৃক বাড়ীর সাথের জায়গা রুপালী ব্যাংকের বড়খাতা শাখায় মর্টগেজ দিয়ে ঋণ নিয়ে এবং আগাম দোকান বরাদ্দের টাকা নিয়ে একটি চারতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন। যা এখনও শেষ করতে পারেননি। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল সোনালী ব্যাংকের হাতীবান্ধা শাখা থেকে সিসি ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠ, মানুষের সত্য কথার বাহক, সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতীক হিসেবে কাজ করে বলে আমরা এটাই জানতাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সাংবাদিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তিনি মামলার আখেজে ও স্বার্থান্বেসী মহলের ইন্ধনে মোতাহার হোসেনের বিপুল জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আইন ও নীতিমালা পরিপন্থী কুরুচিপূর্ণ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে শুধু তাঁর এবং তাঁর পরিবারেরই সুনাম ক্ষুন্ন করেনি, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি সদস্যের নেতাকর্মীর এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *