যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মালিন দিয়ে অনেক মানুষের মগজ সংরক্ষণ করে রেখেছিল। আর এই সংরক্ষিত মগজের মধ্যে ১০০ জনের মগজ রাতারাতি গায়েব হয়ে গেছে। আর চুরি যাওয়া এই মগজের মধ্যে যেমন অনেক জ্ঞানী মানুষের মগজ আছে তেমনি আছে অনেক কুখ্যাত মানুষের মগজ। যেমন ধরা যাক চার্লস হোয়াইটম্যান নামের এক কুখ্যাত মার্কিনির মগজ। ১৯৬৬ সালে চার্লস ক্লক টাওয়ার থেকে স্নাইপার বন্দুক দিয়ে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জন সদস্যকে হত্যা করেছিলেন। পরে চার্লস আত্মহত্যা করলে তাঁর মগজ সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক লরেন্স করম্যাক ওই সংগ্রহশালার সহযোগী রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হ্যালোউয়িনে মজা করা বা নিজ বাড়ির শোবার ঘরে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী বা অন্যরা হয়তো বেশ কয়েক বছর ধরেই মস্তিষ্কগুলো চুরি করছে বলে ধারণা করছেন তিনি। তবে বিষয়টা ধরা পড়ল এত দিন পর।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত মগজগুলোর মধ্যে অপরাধীদের মগজের সংখ্যাই বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে মানুষের মগজ সংরক্ষণের জন্য টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছিল, এই ঘটনা বিশ্বের জনগণ কেন সাধারণ মার্কিন জনগণও এত দিন জানত না। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় বেছে বেছে অপরাধীদের মগজগুলোকেই সংরক্ষণ করেছে। অপরাধীদের বাইরে অনেক আত্মহত্যাকারীর মগজও সংরক্ষণে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।