ঢাকা: ছাত্রী নিপীড়নের বিচারসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করায় ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। হামলা ও মারামারির ঘটনায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাম ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ জন। আর ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যকে তাঁর কার্যালয়ের সামনে ঘেরাও করাকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এর আগে বাম ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী ও কিছু সাধারণ ছাত্র উপাচার্যের কার্যালয়ের লোহার ফটক ভেঙে ফেলেন। একপর্যায়ে উপাচার্য পেছনের দরজা দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঘিরে বসে পড়েন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকা উপাচার্যকে ‘উদ্ধার’ করেন।
আন্দোলনকারীদের ‘সহিংস ও বহিরাগত যুবক’ আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের সহিংস কার্যক্রম পূর্বপরিকল্পিত।’ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হামলার শিকার হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্য নিজে ছাত্রলীগ নেতাদের ফোন করে ডেকে এনে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের দাবি, উপাচার্যকে উদ্ধার ও তাঁর সম্মান রক্ষায় তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বহিরাগত বাম সন্ত্রাসী’দের হামলায় সংগঠনটির ১২ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের সবাই নারী।
সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে ১১ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন একদল শিক্ষার্থী। তবে আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছেন বাম কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ১৫ জানুয়ারি তাঁরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের হুমকি এবং ছাত্রীদের নিপীড়ন করেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ১৭ জানুয়ারি বামপন্থী কয়েকটি ছাত্রসংগঠন, ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি দল ও সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রক্টরকে সাড়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই ঘটনায় ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। এরপর থেকে আন্দোলন চলছে।
যেভাবে শুরু
গতকাল বেলা ১১টার দিকে অপরাজেয় বাংলার সামনে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল করে তাঁরা টিএসসি ঘুরে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হয়ে প্রশাসনিক ভবনে যান। তাঁদের আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই তিনটি ফটকে তালা লাগানো হয়। বেলা দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার একটি ফটক ও দুটি কলাপসিবল গেট ভেঙে ফেলেন। তাঁরা উপাচার্যের দরজার সামনের করিডরে অবস্থান নেন। সেখানে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে সিনেট ভবনের দিকের কলাপসিবল গেট দিয়ে বের হতে চান। এ সময় তাঁকে ঘিরে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁকে সেখানেই প্রক্টরের অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য আন্দোলনকারীদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আইন মেনে, সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা এই ঘোষণা মানেননি। ঘোষণা দিতে কোনো প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে না উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা এ সময় উত্তেজিত স্বরে কথা বলেন। উপাচার্যকে ঘিরে স্লোগানও দেন তাঁরা।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। তাঁরা উপাচার্যকে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। দুই পক্ষ এ সময় পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। একই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা-কর্মী মল চত্বরে অবস্থান নেন। তাঁরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করেন, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনের ভেতরের বিভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে থাকলে সেখান থেকে খুঁজে বের করে পেটানো হয়। তবে ঘটনার সময় ছাত্রলীগ কর্মীদেরও মারধর করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সহসভাপতি অনীক রায়, ইউনিয়নের রাজীব কুমার দাশ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইভা মজুমদার, ছাত্রফ্রন্টের প্রগতি বর্মণ, রাজীব কান্তি রায়, ডাকসুর দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক মাসুদ আল মাহদী, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবু রায়হান খানসহ অন্তত ২০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের আহত ১২ নেতা-কর্মী হলেন; ছাত্রলীগের সহসভাপতি নিশীতা ইকবাল, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা ইসলাম, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি বেনজির হোসেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের রনক জাহান, বেগম রোকেয়া হলের সভাপতি বি. এম লিপি আক্তার ও বেগম রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম, শামসুন নাহার হলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াস ইসলাম, ইশরাত জাহান, জেরিন দিয়া, বিষিকা দাস। আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি আছেন বলে ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গতকালের ঘটনায় একাধিক সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। ইংরেজি দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মীর আরশাদুল হকের মাথা ফেটে গেছে। নিউএজ-এর আরিফুর রহমানও আহত হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেসরকারি দুটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। নিরাপত্তা সংস্থার একজন কর্মকর্তাকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা।
হাসপাতালে ২০ শিক্ষার্থী
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২০ শিক্ষার্থী। সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগ ও পর্যবেক্ষণ কক্ষের প্রায় সব কটি শয্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাতরাচ্ছেন। কারও মাথায় ব্যান্ডেজ, তো কারও হাত ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারও আঙুলে গজ প্যাঁচানো। কেউ দাঁড়িয়ে হাত ডলছেন তো কেউ হাসপাতালের মেঝেতে হাত-পা ছড়িয়ে চোখ বুজে বসে রয়েছেন। চিকিৎসকদের চাহিদামতো ওষুধ, স্যালাইন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন কয়েকজন। আহত শিক্ষার্থীদের এক্স-রে, সিটি স্ক্যান করাতেও শিক্ষার্থীদের দল ছুটছিল স্ট্রেচার আর হুইলচেয়ার নিয়ে।
আহত শিক্ষার্থীদের ভাষ্য
আন্দোলনরত স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী হাসপাতালের পর্যবেক্ষণকক্ষে প্রথম আলোকে বলেন, ১৭ জানুয়ারি তদন্ত শেষ করতে গত রোববার পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন উপাচার্য। সেই সময় শেষ হওয়ার পরও কিছু হচ্ছে না দেখে গতকাল শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি নেন। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল সব কটি ফটকে তালা। উপাচার্যের কাছে শিক্ষার্থীরা তো দাবি নিয়ে যেতেই পারেন, তাঁরা আর কার কাছে যাবেন। কিন্তু অনেক অনুরোধ, অনুনয়ের পরও কার্যালয়ের কর্মীরা ফটক খোলেননি। একপর্যায়ে বাইরের ফটক ও কলাপসিবল গেট ভেঙে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান নেন।
আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘সবাই চাইছিলেন ভিসি স্যার এসে কথা বলুন। প্রক্টর এসে বলে গেলেন যে ভিসি স্যার আসবেন, কথা বলবেন। সেই প্রতিশ্রুতি পেয়ে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করছিলেন। ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষার পর হঠাৎ দেখি পেছন দিয়ে ভিসি স্যার বেরিয়ে যাচ্ছেন। এরপর আমরা স্যারকে থামালাম। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে কিছুই বলছিলেন না। বারবারই বলছিলেন প্রক্রিয়াধীন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের লাথি-গুঁতো, কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ঢুকে পড়েন একদল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী। এরপর তাঁরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যকে নিয়ে যান। এর পরপরই ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা-রড নিয়ে মারধর শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা সংখ্যায় ছিলেন দু শর মতো। তাঁরা ছাত্রলীগের প্রবল হামলায় বেধড়ক মারধরের শিকার হন।
আন্দোলনকারীদের একজন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা ভিসি স্যারের রুমের সামনে যেভাবে মার খেলাম, তাতে পুরো ক্যাম্পাস অনিরাপদ মনে হচ্ছে। নেত্রীরা মুখ চিনে রাখছে, হলে ফিরব কীভাবে তাই ভাবছি।’
ছাত্রলীগের বক্তব্য
হামলা শেষে মধুর ক্যানটিনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, আন্দোলনকারীরা আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁরা উপাচার্যের ওপর হামলা করেছেন, ভাঙচুর চালিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে ও উপাচার্যের সম্মান রক্ষায় সেখানে গিয়েছিল। তাঁর দাবি, হামলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের কোনো হাত নেই।
ছাত্রলীগের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উপাচার্যকে অবরুদ্ধ ও তাঁকে লাঞ্ছনা করে বহিরাগত বাম সন্ত্রাসীরা। এ খবর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কানে পৌঁছালে তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে একত্রিত হয়ে উপাচার্যকে উদ্ধার করে। এ সময় বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ন্যক্কারজনকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেয়েদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত বাম সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নষ্ট না হয় সে জন্য ছাত্রলীগ দুপক্ষকেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
এদিকে আন্দোলনকারীদের ‘সহিংস ও বহিরাগত যুবক’ আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্য কার্যালয় ঘেরাওয়ের নামে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও হাতিয়ার যেমন: হেক্সো ব্লেড, রড, লোহার পাইপ, ইট, পাথর ইত্যাদি দিয়ে তিনটি ফটকের তালা ও শিকল ভেঙে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। দুটি মাইকে অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় উপস্থিত শিক্ষক, প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্য এবং উপাচার্যকে উদ্দেশ করে অশালীন বক্তব্য দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের প্রতি বলপ্রয়োগ ও আক্রমণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, প্রক্টোলিয়াল বডির সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা মানববলয় তৈরি করে উপাচার্যকে তাঁর কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনেন।’