নতুন নতুন পথ খুঁজছেন সুচি

Slider সারাবিশ্ব

101776_Suu
ঢাকা: রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তীব্র হয়েছে। তাই স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি নতুন নতুন পথ খুঁজছেন। এটা পরিস্কার, ন্যাপিড একটি বিষয়ে স্পষ্টত বুঝতে পেরেছে। তাহলো, শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাতীয় অগ্রাধিকারের যেসব ঘোষণা তারা দিয়েছে, মিয়ানমার সম্পর্কে আন্তর্জাতিক উপলব্ধি বা ধ্যানধারণার ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই উচ্চ পর্যায়ের ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিশন গঠন করেছেন অং সান সুচি। এ কমিশনের প্রধান করা হয়েছে থাইল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাকিয়ার্ট সাথিরাথাই’কে।

এই কমিশন দেশটির জটিল রাজনৈতিক ও মানবিক সঙ্কট সমাধানের সম্ভাব্য উপায়গুলো খুঁজে বের করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিক্কি এশিয়ান রিভিউ। এতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারে পৌঁছানোর পর উদ্বোধনী মিটিং করবে ওই কমিশন। একদিকে মিয়ানমার তীব্র সমালোচনার মুখে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নেতৃত্বে পশ্চিমাদের সম্ভাব্য অবরোধের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত আগস্টে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি প্যানেল রাখাইনে জাতিগত সঙ্কট সমাধান কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে বেশ কিছু সুপারিশ উত্থাপন করেন। এর প্রেক্ষিতে অং সান সুচি ওই নতুন ১০ সদস্যের ওই প্যানেল বা কমিশন গঠন করেছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে এডভাইজরি বোর্ড অব দ্য কমিটি ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য রিকমেন্ডেশনস অন রাখইন স্টেট। নতুন এই কমিটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অং সান সুচির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসার কথা রাজধানী ন্যাপিডতে। এর ফলে সরকার ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ গ্রহণযোগ্যতা ও তার পরিণতি সম্পর্কে কাজ করা হবে। আনান কমিশন ৮৮টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের চলাচলের অবাধ স্বাধীনতা। সুচির গঠন করা নতুন কমিশনের নেতৃত্বে থাকা থাইল্যান্ডের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাকিয়ার্ট মিয়ানমারের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করেছেন তার ক্ষমতার মেয়াদে। এখন তিনি চেষ্টা করছেন ওই সময়কার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও প্রধানমন্ত্রী খিন নাউন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং বর্তমান সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। সুরাকিয়ার্টের রয়েছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। ধারণা করা হচ্ছে তা ব্যবহার করে তিনি মিয়ানমারের আভ্যন্তরণীর ও বৈদেশিক অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন। তার সঙ্গে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রোয়েলফ পেট্রাউস মেয়ার, নিউ মেক্সিকের সাবেক গভর্নর বিল রিচার্ডসন ও সুইডেনের পার্লামেন্টের স্পিকার আরবান আহলিন। মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের সম্মত হয় কিনা সে বিষয়ে তারা কাজ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *