সুগন্ধিযুক্ত এলাচকে মশলার রানি বলা হয়। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়াতে এ মশলার ভূমিকা অপরিসীম। রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারী গুণ। বিশেষ করে, এলাচের ভেষজ গুণ শরীরের নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ করে। এলাচে রয়েছে ভিটামিন সি, যা রক্তসঞ্চালন ও ত্বক সমস্যার সমাধান করে। অনেকে মনে করেন, সকালে খালি পেটে এলাচমিশ্রিত পানি পান করলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। এক চিমটি এলাচ গুঁড়ো রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং দুর্বলতা কমিয়ে আপনার শক্তি বাড়াতে পারে।
আসুন, জেনে নিন এলাচের আর কী কী উপকারিতা রয়েছে-
রক্তস্বল্পতা দূর করে- এক বা দুই চিমটি এলাচ গুঁড়ো এবং হলুদ গুঁড়ো এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতি রাতে এটি পান করুন। রক্তস্বল্পতা দূর হবে, দুর্বলতা কমবে এবং শক্তি বাড়বে। এলাচে বিদ্যমান রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, আয়রন এবং কপার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে : ২টি এলাচ, ১টি ছোটো আদার টুকরো, ২-৩টি লং এবং কয়েকটি ধনিয়া একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন। এটি গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। হজমশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গ্যাস, বমিভাব দূর করবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : খাবার পর এক টুকরো এলাচ কিছুক্ষণ চিবিয়ে নিন অথবা এলাচ চা পান করুন প্রতিদিন সকালে। এটি আপনার পাঁচনতন্ত্র শক্তিশালী করে। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
হেচঁকি কমায় : ঘনঘন হেঁচকির সমস্যা হলে এলাচ খাওয়া শুরু করুন। এটি আপনার পেশি রিল্যাক্স করে হেঁচকিকমাবে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর : এলাচ একটি ভেষজ উপাদান। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ফাঙ্গাস, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
হার্ট সুস্থ রাখে : প্রতিদিনের খাবারে এলাচ যুক্ত করুন অথবা এলাচ চা পান করুন। এটি আপনার হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি হার্টবিট নিয়মিত রাখবে।
অ্যাসিডিটি কমায় : সমপরিমাণে এলাচ, জিরা, মৌরি একটি পাত্রে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এক কাপ গরম পানিতে আধ চা চামচ এই গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং পান করুন। এটি অ্যাসিডিটি, পেটের গ্যাস এবং পেট ফাঁপা রোধ করবে।