বরিশালে ১০ দফা দাবিতে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ৩৩ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নগরের বান্দ রোডে এ ঘটনা ঘটে। এসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। সংঘর্ষের পর আইএইচটির ১৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুল ও কোতোয়ালি থানার কনস্টেবল বেল্লালসহ আহত তিন পুলিশ ও বেশিরভাগ আহত শিক্ষার্থীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ায় তারা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার সৈয়দ গোলাম রউফ বলেন, রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায় হয় না। দাবি আদায়ের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হয়। এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেছিল। তখন তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আজ (বুধবার) পুলিশ তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত আচরণের কারণে আইন শৃঙ্খলা ও সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের ইটের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
রদক্ষদর্শীরা জানান, প্রশাসনের কাছ থেকে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১০ দফা দাবিতে হাসপাতালের সামনে বান্দ রোডে অবস্থান নেন আইএইচটির বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা -আমাদের দাবি একটাই দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা চাই স্লোগান দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশ প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কুমুদ রঞ্জন বালা ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাতে রাজি না হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।