প্রেমের কারণে স্কুলছাত্র রাজিন খুন, আটক ৫

Slider বিচিত্র

khulna1

 

 

 

 

 

প্রেমঘটিত কারণে খুন হয়ে খুলনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন (১৪)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রাক্তন ছাত্রদের পূনর্মিলনীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত রাজিন নগরীর বয়রা মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে ৬ জনের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা নং-২০।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্র জানায়, নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রয়েল, সানি, আলিফ, জিসান ও তারিন নামের ৫ জনকে আটক করেছে। তবে মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি ফাহিম ইসলাম মুনিবকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। সে টাঙ্গাইল শাহীন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী কমিশনার এসএম আল বেরুনী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে নিহত রাজিনের সাথে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা একসাথে ব্যাচে (কোচিং) পড়তো।

একই এলাকার ফাহিম ওই মেয়েকে পছন্দ করতো। সে রাজিনকে ওই মেয়ের সাথে কোচিংয়ে পড়তে নিষেধ করে। কিন্তু নিষেধ না শোনায় শনিবার রাতে ফাহিম ও তার বন্ধুরা মিলে কলেজ ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রাজিনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ঘটনার দু’দিন আগে ফাহিম টাঙ্গাইল থেকে বাড়িতে আসে বলে জানা গেছে।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, নিহত রাজিনের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম মংলা বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও মা রেহেনা বেগম পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষিকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে রাজিন ছোট। তিনি বলেন, রাজিনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আটককৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *