গুগলে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের বলা হয় গুগলার। আর গুগলের জুরিখ অফিসে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের জন্য আছে বিশেষ বিশেষণ—জুগলার। কেন? তাঁদের বিশেষ বিশেষণের বিশেষত্ব তাঁদের কর্মস্থলে, তাঁদের কর্মপরিবেশে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জুগলারদের সম্পর্কে লিখেছে, তাঁরা বেতন পান কর্মক্ষেত্রে খেলার জন্য, কাজের জন্য না। কথা কিন্তু সত্যি। গুগল জুরিখে কর্মীরা কাজ করেন গুগল সার্চ নিয়ে। একই সঙ্গে ম্যাপস, ক্যালেন্ডার, ইউটিউব ও জি-মেইল নিয়েও কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গুগলের সবচেয়ে বড় গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র এই জুরিখ কার্যালয়ে অবস্থিত। আর তাই কর্মীদের খুশি ও কর্মপটু রাখার জন্য সব ব্যবস্থাই রেখেছে গুগল। একটু নমুনা দেওয়া যাক।
নিজেকে ‘টারজান’ ভাবতে চাইলে জুরিখ অফিসে পাবেন জাঙ্গল লাউঞ্জ। সেখানে ১০০ প্রজাতির গাছের মধ্যে বসে কাজ করা যায়। জঙ্গল থেকে দূরে যেতে চাইলে বিশাল আকারের কৃত্রিম ডিমের ভেতরেও কাজ করা যাবে। জুগলাররা ভবনের একতলা থেকে অন্য তলায় যান স্লাইডে করে, সিঁড়ি বা লিফটে না।
খেলার জন্য টেবিল টেনিস-পিনবল আছে, গান গাইতে ইচ্ছা হলে ব্যান্ড রুম আছে। কৃত্রিম তুষারে ঢাকা কক্ষ আছে, সিনেমা হল, শরীরচর্চা কেন্দ্র, এমনকি লেগো রুম পর্যন্ত আছে। সেখানে মিটিং হয় কেব্ল কারে বসে, তবে ঘরের মধ্যেই। চাইলেই পিয়ানো বাজানো যায়। ঘুম পেলে ঘুমানো যায়। আর অফুরান খাবারের কথা তো পুরোনো।
বিকেলে তাঁরা মন খুলে গল্প করেন। তাও প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ সময়েই। অন্যভাবে বললে, গল্প করার জন্য গুগল তাঁদের বেতন দেয়। গুগল তাঁদের বেতন দেয় খেলাধুলার জন্যও। যেন তাঁরা প্রাণ খুলে ধারণা নিয়ে কাজ করতে পারেন।
মেহেদী হাসান, সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান