এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ভূমি দস্যু কতৃক জোরপূর্বক এক মুক্তিযোদ্ধার ক্রয়কৃত জমি দখলের পায়তারা সহ প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে । দখলের পায়তারা ছাড়াও তারা ভূয়া কাজপত্র তৈরী করে ওই মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণের ভয়ে ছেলে সন্তান নিয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জলিলপাড় ইউনিয়নের উত্তর জলিলপাড় গ্রামে। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদারের অভিযোগে জানা গেছে, ৪ নং জলিলপাড় মৌজার ৪৯৫ নং খতিয়ানের সাবেক ৩৩২,হাল ১০৩ নং দাগের ২১ শতাংশ জমির মধ্যে হতে ১০.৫ শতাংশ জমি
১৯৮৫ সানে স্থানীয় গন্যমান্য বেক্তিদের উপস্থিতে ৩৫০০ টাকায় মোহাম্মাদ মোল্লার কাছ থেকে ক্রয় করেন ।
কিছু দিন পরে দলিল করে দেওয়ার কথা থাকলে ও তা দেয়নি । পরবের্তীতে আমি দলিলের জন্য বার বার বলতে থাকলে ২০০৭ সানে একটি হস্তান্তর নামা দেয় । পরে ২০১০ সানে আমার স্ত্রীর নামে একটি ভুয়া দলিল সাজিয়ে প্রিয়েনশন মামলা করে,আমি ওই মামলার বিপক্ষে একটা মামলা দেই । মামলাটি বর্তমান গোপালগঞ্জ বিঞ্জ আদালতে চলোমান রয়েছে ।
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদর আরো বলেন, আমি জমি ক্রয়ের পর সেখানে বিভিন্ন প্রকারের কাজ লাগানো সহ দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করার পর আমাকে উক্ত জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়জন্তে লিপ্ত হয় ওই গ্রামের ভূমি দস্যু এ জালিয়াত চক্রের হোতা হাসিনা বেগম,রুহুল শেখ,রফিক শেখ,রেহানা বেগম
সহ তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
ওই সংঘবদ্ধ দলটি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদারের বাড়ীঘর ভাংচুর সহ বিভিন্ন সময় তার ও তার ছেলে সন্তানদের প্রাণ নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে । তিনি বলেন, ওই ষড়যন্ত্রকারীরা জালিয়াতি কাজপত্র তৈরী করে তার বসতবাড়ী আত্মসাতের পয়তারা চালাচ্ছে এবং তাকে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষভাবে একাধিক মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা দিয়ে সর্ব শান্ত করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাসিনা বেগম বলেন, এ জায়গাটি আমার আমি কোর্টের রায় পাইছি । আমি তাদের কে কোন ধরনের হয়রানি করছি না । আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আদালত আমাকে যে রায় দেয় আমি তা মাথা পেতে নিবো ।
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী চোকদর তার সম্পত্তি উদ্ধার সহ ছেলে-সন্তাদের নিরাপত্তার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।