সরকার যে উন্নয়ন মেলা করছে, সেটা আসলে দুর্নীতি মেলা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নামের সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার সব বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। আর বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি দুর্নীতি। বড় বড় প্রকল্প মানে বেশি বেশি ঘুষ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে জনগণের দুঃখ কষ্টের কোনো প্রতিফলন নেই। তার ভাষণে কেবল তার সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে।
মওদুদ আহমদ বলেন, সরকারের চার বছরে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। ভাষণে শেখ হাসিনা বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচরে আগেও নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাতে সব দলের অংশগ্রহণের আশা প্রকাশ করেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। এবারও তারা একই দাবি তুলেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নির্দলীয় সরকার সংবিধানে নেই।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেছেন নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সুযোগ সংবিধানে নেই। তিনি আসলে এ কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন। তিনি যদি সবকিছু ঊর্ধ্বে উঠে সবার দুঃখ কষ্টের কথা বলতেন তবে জনগণ বাহবা দিতো। ভাষণে যদি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দিতেন, আমরাও বাহবা দিতাম। কাজেই তার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ জনগণের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেননি। কেননা, তার ভাষণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক ফুলকা হয়ে গেছে, বিএনপিকে নিশ্ছিন্ন করে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের টেন্ডারবাজী, ব্যবস্থা দখল, দোকান দখল, ধর্ষণ, গুম, খুনের বিষয় উঠে আসেনি।