গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এর জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা হোসেন পুতুল বলেছেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। তারা আমাদেরই সন্তান। তাদের অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের আগের দিন মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের আয়োজনে ‘মেন্টাল ওয়েলবিয়িং, ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট: টুওয়ার্ডস এক্সেসিবল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ শীর্ষক এই সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা পুতুল।
তিনি আরও বলেন, মানবিক দৃষ্টিতে সহানুভূতি নিয়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ালে তারাও জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। সাধারণ মানুষের মতো বাঁচার অধিকার তাদেরও রয়েছে।
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের সমস্যা দূর করতে পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহলের ‘বিশেষ মনোযোগই’ মূল হাতিয়ার হতে পারে বলে মত দেন মনোস্তত্ত্ববিদ পুতুল, যিনি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘অটিজম স্পিকস’র পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন।
সেমিনারে তিনি শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে বিত্তবান ও হৃদয়বান বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জাতিসংঘের ‘সেক্রেটারিয়েট ফর দি কনভেনশন অন দি রাইটস অব পারসনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ এর প্রধান আকিকো ইটো।
অন্যদের মধ্যে আর্জেন্টিনার স্থায়ী প্রতিনিধি মারিয়া ক্রিস্টিনা পার্সেভাল, জাতিসংঘ গ্লোবাল হেলথ এর কো-অর্ডিনেটর আতোসুরো সুতোসুমি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষক মার্ক ভেন ওমেরেন, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেরি মিনাজ, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি রিসার্স ইনস্টিটিউটের কামাল লেমিচেনি, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন অন ডিপ্রেশন এর ক্যাথরিন গুয়েটজকি ও টোকিও বিশ্ব ব্যাংক লার্নিং সেন্টার এর ড. তাকাশি ইজুতোসু।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আব্দুল মোমেনসহ বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।