বিশ্বইজতেমায় এবার আখেরী মোনাজাত হবে বাংলায়। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশী মাওলানা হাফেজ জোবায়ের। আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়তি বয়ান হয় তা করবেন আরেক বাংলাদেশী মাওলানা আব্দুল মতিন। বিশ্বইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরীর পর বাধার মুখে তিনি এবারে টঙ্গীর বিশ্বইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না। ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান মারা যাওয়ার পর তিনিই বিশ্বইজতেমায় তার হাল ধরেছিলেন। বিশ্বইজতেমায় উর্দূতে বয়ান করা ছাড়াও তিনি একই ভাষায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করতেন। কিন্তু এবার আখেরি মোনাজাত ও হেদায়তি বয়ান দুই-ই হবে বাংলায়।
বিশ্বইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, রবিবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার রাতে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীদের নিয়ে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে তাবলীগ জামাতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বী বলেন, আখেরি মোনাজাত হবে আরবিতে কিংবা উর্দূতে।
শুক্রবার ফজরের নামাজের পর শুরু হয়েছে এবারের বিশ্বইজতেমার প্রথম দফা। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ দফা। চারদিন বিরতি দিয়ে ১৯জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্বইজতেমার দ্বিতীয় দফা, ২১জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
প্রায় ১০০বছর আগে ইসলামের দাওয়াতি কাজকে ত্বরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) দিল্লীর নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছের (রহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রহ.)। তারই ছেলে হলে মাওলানা সাদ কান্ধলভী।
২০১৫সাল থেকে মাওলানা সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালানা করে আসছেন। এরআগে তিনি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুধু তাবলীগের বয়ান দিতেন।