ন্যায় ও নীতির পথে চলবেন। কারো কাছে নতি স্বীকার করবেন না। আপনার বিবেককে বলি দিবেন না। একটি সরকারের সুশাসনের উন্নয়নের জন্য পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন। পুলিশের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারমধ্যে থেকেও পুলিশ দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ৩৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৮ তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাকে কেউ সফল মন্ত্রী আখ্যায়িত করলে আমি বিব্রত বোধ করি। বিব্রত বোধ করি এই কারণে একজন মন্ত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে কিছু ফ্লাইওভারের মত কাজ আমি করতে পেরেছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারিনি। রাস্তায় ট্রাফিক যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। যখন রাস্তায় যানজটে পড়ে রোগী মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে তখন মন্ত্রী হিসেবে আমার সফলতাকে ম্লান করে দেয়।
মন্ত্রী বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। কারণ আমি বেশি সময়ে মাঠে থাকি, রাস্তায় থাকি আমি পুলিশের কাজ করার পরিবেশ দেখি। এদেশে যদি আমরা রাজনৈতিকরা ভাল মানুষ হই সৎ মানুষ হই পুলিশ যদি খারাপ থাকে তাহলে পুলিশও ভাল হয়ে যাবে। রাজনৈতিকরা যদি ভাল হয় তাহলে পুলিশ ভাল হতে বাধ্য।
তিনি আরো বলেন, হাইওয়েতে দেখি পুলিশ অপরাধের ঘটনাস্থলে যান সিএনজিতে চড়ে। আমাদের দেশে সন্ত্রাসীরা যে অস্ত্র ব্যবহার করে সেই অস্ত্র এখনও পুলিশের কাছে নেই। তারপরেও আমি বিশেষ করে বলতে চাই আমাদের দেশে জঙ্গি দমনে পুলিশের সাহসী ভূমিকার জন্য আমরা গর্ববোধ করতে পারি। পুলিশ এখানে কোন আপস করেনি। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকা সত্যিই বিস্ময়কর। আমাদের দেশের পুলিশ পৃথিবীর উন্নত দেশের স্মার্টনেসকে অবাক করে দিয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, পুলিশের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমিও জানি। আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু হাতিয়ার কিছু রসদ লাগবে। জাতীয় স্বার্থে পুলিশের সক্ষমতা সাহস বাড়ানোর স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএমসহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।