শুধু মনুষ্যসমাজে নয়, প্রেমিকাকে উপহার দেওয়ার চল রয়েছে গভীর সমুদ্রের বাসিন্দাদের মধ্যেও।
উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় এক দশক ধরে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ‘ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া’ (ইউডব্লিউএ)-র বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, প্রেমিকাকে নেচে-গেয়ে খুশি করার পাশাপাশি উপহারও দিতে ভালবাসে পুরুষ ডলফিনরা। আর সবচেয়ে পছন্দের উপহার— সামুদ্রিক স্পঞ্জ।
সমুদ্রের ঢেউ কাটিয়ে কখনও শূন্যে লাফিয়ে ওঠা, কখনও এক ডুবে বেশ জলকেলি। নাচের সঙ্গে চলে শিস দিয়ে গানও। সমুদ্রবিজ্ঞানী থেকে পর্যটক, এ দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছেন অনেকেই। তবে তারা যে উপহারও দিয়ে থাকে প্রেমিকাকে, সেটা এত দিন জানা যায়নি। একটি প্রাপ্তবয়স্ক অস্ট্রেলীয় হাম্পব্যাক পুরুষ ডলফিনকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানাতে গিয়ে ব্যাপারটা ধরা পড়েছে গবেষকদের ক্যামেরায়।
প্রথমে একটি ডলফিন পরিবারকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানানো শুরু হয়। লক্ষ করা হয়, বাবা-মা ও তাদের ছানার কার্যকলাপ। তাতে দেখা যায়, এক ডুবে পুরুষ ডলফিনটি চলে যায় সমুদ্রের একেবারে গভীরে। তার পর সমুদ্রতট থেকে একটি স্পঞ্জ উপড়ে নিয়ে সাঁতরে যায় সঙ্গিনীর কাছে।
গবেষকদের বিশ্বাস, ডলফিন-কূলে এ ভাবেই হয়তো পুরুষেরা খুশি করে ‘গিন্নিদের’। এ ভাবে উপহার দেওয়ার মধ্যে সম্ভবত পুরুষের শক্তি প্রদর্শনও রয়েছে। ইউডব্লিউএ-র গবেষক সিমোন অ্যালেন জানিয়েছেন ‘সায়েন্টিফিক জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণাপত্রটি।
সুত্রঃ আনন্দবাজার