বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে মেয়র পদে একজনের নাম ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জোটের অন্য শরিকেরা। জোটের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রার্থী ঘোষণাকে শিষ্টাচারবহির্ভূত বলেছেন শরিক দলের কোনো কোনো নেতা।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে অনির্ধারিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে একজন প্রার্থীর নাম ঘোষণার বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ডিএনসিসি নির্বাচনে জামায়াতে তাদের দলীয় নেতা ঢাকা উত্তরের সভাপতি সেলিমউদ্দীনকে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে।
জোটের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণার বিষয়ে শরিক দুটি দলের প্রশ্নের জবাব দেন সেখানে উপস্থিত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম। একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘হালিম সাহেব বলেছেন, তাঁদের নির্বাচনী তৎপরতা চূড়ান্ত কিছু নয়। নির্বাচন ঘিরে জামায়াতেরও প্রস্তুতি আছে। তবে জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই জামায়াত মেনে নেবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই।’
অবশ্য জোট নেতা খালেদা জিয়া বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
পরে বৈঠকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোটবদ্ধ ভাবে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এবং প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার জোটপ্রধান খালেদা জিয়ার ওপর ন্যস্ত করা হয়।
উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর কারণে মেয়র পদটি শূন্য হয়। মঙ্গলবার এই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। সম্ভাব্য ভোটের দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে কমিশন।
বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনীতি, খালেদা জিয়ার মামলা, জাতীয় নির্বাচনের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় আসে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জোটের শরিক লেবার পার্টির কোনো প্রতিনিধি ছাড়া অন্য সব দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।