১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য ৮ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ রবিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত ইজতেমার ফলোআপ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ইজতেমার মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে ৮ স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য ৭ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য র্যাবের আড়াই হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি আরো জানান, নিরাপত্তার জন্য ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার, ৪১টি সিসি ক্যামেরা, নৌ টহল, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর দিয়ে তল্লাশি, বোম ডিস্পোজাল টিম, ও ভিডিও ধারণ করা হবে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রতিটি খিত্তায় ৬ জন করে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
এ ছাড়াও প্রস্তুতিমূলক সভায় আরো জানানো হয়, ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানে তাঁবু টানানোর কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন সংযোগ, পানি সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা ময়দানে কাজ করছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এম বজলুল করিম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দীন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, বিশ্ব ইজতেমা মুরব্বী ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দীন, ড. রফিকুল ইসলাম, মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।