থাকার ঘড় দিয়া দিছি তবু ওরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দিল না

Slider গ্রাম বাংলা ঢাকা
gazipur-district
grambanglanews24.com

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাতুল মন্ডল শ্রীপুর গাজীপুর প্রতিনিধি:

থাকার ঘড় ছাইড়া দিছি তবু ওরা আমার মানিকটাকে বাঁচতে দিল না।এমন কান্না ঝড়া কন্ঠে কথা গুলো বলছিলেন ছেলে হারা ৬০ বছর বয়সি ফিরোজা। গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ধনুয়া দক্ষিন পাড়া গ্রামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

নিহত ব্যক্তি হলেন দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে সাহিদ মিয়া (৩৫)। খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ খুদেজা (৩০), ও সাবিনা (২৮) কে আটক করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরকরা হয়েছে।
স্থনীয় সুত্রে জানা যায়,ওই গ্রামের ইমান আলী ও তার ভাই হানিফার সঙ্গে একই এলাকার মৃত আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে সাহিদ মিয়ার জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।

শুক্রবার সকালে বিরোধকৃত জমিতে সিমানা নির্ধারন করতে গেলে ইমান আলী,মৃত হানিফার দুই মেয়ে খুদেজা,সাবিনা,ও রমজান আলী বাঁধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রমজান আলী বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে সাহিদকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে মাওনা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। হত্যাকান্ডে সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ খুদেজা (৩০), ও সাবিনা (২৮) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। হত্যাকান্ডে ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নারগিস বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবুল হাসান এর সঙ্গে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহিদ মারা যান। লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতে হত্যা মামলা হয়েছে।বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *