ঝুকিপুর্ন ভবন; শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মনে ভয় কখন জানি কি হয়

Slider সিলেট
grambanglanews24.com
grambanglanews24.com
হাফিজুল ইসলাম লস্করঃ সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের ১ নং চককোনাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝূঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম, এমনকি মারাত্মক ঝুকির মাধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখ, যেখান দিয়েই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আসা যাওয়া। এমনকি এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসেও যেতে হয় এই ঝুকিপুর্ন ভবনের নিচ দিয়ে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বিপদ জনক
ফাটল। সম্প্রতি সময়ে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রয়েছেন আতংকের মাধ্যে। শিশু সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকদের সময় কাটে আতংক আর উৎকন্ঠার মাধ্যে।
ভবনের ছাদ থেকে খসে খসে পড়ছে আস্তরণ। দেয়ালে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাঁটল। বর্ষার সময় পড়ছে অঝোরে বৃষ্টির পানি । তারই মাঝে এই ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আতংকের কারনে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহনে মনোনিবেশ করতে পারছে না, শিক্ষকদের মনেও ভয় কখন জানি কি হয়। ফলে শিক্ষার পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
১ নং চককোনাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩২৫ জন। পাঠদানের ক্লাসরুম কম। ঝূঁকিপূর্ণ ভবনসহ বিদ্যালয়ে আরো দুটি ভবন রয়েছে। ক্লাস রুম কম থাকায় ৩২৫ জন শিক্ষার্থীকে একই সাথে পাঠদান দেয়া খুবই কঠিন।
ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করতে ২০১৫ সালে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করা হয়েছিলো। ২০১৭ সালে উপজেলার মাসিক সম্মন্বয় সভায় ভবনটি নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এখনো ভবনটি সরানো হয়নি। ভবনটি দ্রুত ভেঙ্গে ফেলা হলে শিক্ষার্থীরা ঝূঁকিমুক্ত হবে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত আলী জানান, ভবনটি
মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ। এই ভবনের নিচ দিয়েই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের একক্লাস থেকে অন্য ক্লাস রুমে যেতে হয়। বিভিন্ন সময় এই ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ভবনটি সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী বলে, এই ভবনের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা দৌড় দেই। ভয় থাকে কখন জানি ছাদ থেকে সিমেন্টের টুকরো মাথায় ভেঙ্গে পড়ে। এরপরও মাঝে মাঝে ছাদ থেকে সিমেন্টের টুকরো পড়ে আঘাত পাই।
এলাকার সমাজসেবী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের ঝূঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে অঘটন ঘটার আশংকা রয়েছে। ভবনটি সরাতে আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত ভবনটি সরাতে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, এমপি সেলিম উদ্দিন স্যার আমাকে বিদ্যালয়টির বিষয়ে বলেছেন। আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *