এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবের ৭০ বছর পর্দাপন অনুষ্ঠানে এবারও ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সৃষ্টি। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংবাদকর্মীরা হট্টগোলের ছবি তুলতে গেলে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব হোসেন রনি দাবি করেছেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে একটু কথাকাটি হয়েছে মাত্র। তবে কোন সংবাদকর্মীকে লাঞ্চিত করা হয় নাই বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
এর পূর্বে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে এক ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে কেক কেটে ছাত্র সমাবেশের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন এমপি।
এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব হোসেন রনি’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মু.সাদেক কুরাইশী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড মকবুল হোসেন বাবু, মাহাবুবুর রহমান বাবলু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, আ.স.ম গোলাম ফারুক রুবেল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক রাজিউর রেজা খোকন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, উপ-প্রচার সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ পুলক।
উল্লেখ্য, গত বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।