ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়াতে নরওয়ের সমুদ্রবিজ্ঞানী এবং ইলিশ জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞানীদের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী নদী অববাহিকায় পাঁচটি এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেছেন, নরওয়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। নরওয়ের মৎস্যবিজ্ঞানীদের প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে গেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানীরা গঙ্গা নদী, সাগরের মোহনা এলাকা, সুন্দরবন অঞ্চলসহ যেসব এলাকায় ইলিশ সমুদ্র থেকে ডিম পাড়তে আসে, সেসব এলাকা চিহ্নিত করে রাজ্য সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদনও দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ এলাকায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের পরিবারের বিকল্প আয়ের ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করারও কথা বলেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সুগত হাজরার ভাষ্য, ইলিশ মাছের ঝাঁক সবচেয়ে বেশি আসে—এ রকম কয়েকটি জায়গা তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। এসব অঞ্চলে মা ইলিশ ধরা বন্ধ হলে উৎপাদন বাড়বে। পাঁচটি এলাকায় ইলিশ ধরার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাজরা।
এগুলো হলো ১. ঠাকুরানী, মাতলা ও রায়মঙ্গল নদীর অববাহিকার পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা, ২. ফারাক্কা বাঁধ এলাকা, ৩. ফারাক্কা থেকে লালবাগ ৪. ডায়মন্ডহারবার থেকে নিশ্চিন্দপুর গোদাখালি এলাকা ও ৫. বলাগড়, হুগলি ঘাট থেকে কাটোয়া এলাকা।