সাংবাদিক দাম্পত্বির বিরুদ্ধে হয়রানির বন্ধের দাবী ! অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছেন-গোপালগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব

Slider ঢাকা বিনোদন ও মিডিয়া
Photo
grambanglanews24.com

 

এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ :

ණ☛ সংবাদকর্মীদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই আবারও রক্তক্ষরণ। এগুলো কি হচ্ছে দেশে।অভিলম্ভে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করুন। আজ যদি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। চোখ বুঁজে থাকবেন না আমাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত দেশপ্রধানরা। অনেক কষ্টে এ লেখাটি লিখতে হচ্ছে।

ණ☛ দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন জাতির বিবেক বলে পরিচিত সাংবাদিক সমাজ। বস্তুনিষ্ঠ সত্য সংবাদ প্রকাশ হলেই তাদের ওপর নেমে আসে লোমহর্ষক নির্যাতন। যেটা কোনো সভ্য দেশের মানুষ আশা করে না। বিগত দিনে আমাদের দেশে যে সমস্ত সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের কোনো সঠিক বিচার না হওয়ার কারণে দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও আক্রমণের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

ණ☛অপরাধীরা একজোট হয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হচ্ছে। অপরাধী চক্রের মতো যেন পিছিয়ে নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। নির্যাতন কারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দায়িত্ব যাদের হাতে সেই পুলিশই এখন একের পর এক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি দেশের পুলিশকে জনবান্ধব হওয়ার জন্য বললেও সেখানে হচ্ছে তার উল্টো।

ණ☛যে দেশে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজ পুলিশের নির্যাতনের শিকার হতে হয় সে দেশে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি তা দেশের মানুষ জানতে চায়।প্রায় প্রতিদিন ই সহকর্মী রিপোর্টার,সংবাদকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার কথা জানাযায়।সাংবাদিকদের আহাকার অসয়াত্বের এমন খবর শুনে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। এখন আমাদের হাতে কিছু নেই। তাই লিখছি।

ණ☛এ লেখার কথাগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছাবে কি না জানি না এরপরও লিখছি। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ না হলে গণতন্ত্রের বিকাশ ও উন্নয়ন সম্ভব হবে না। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা রয়েছেন নানাবিধ প্রতিকূলতার মুখে, নিহত সাংবাদিকদের পরিবারগুলো অর্থনৈতিক সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

ණ☛সাংবাদিকদের পাশাপাশি প্রকাশক ও মুক্তমনা-বলাগাররাও যুক্ত হয়েছেন হতাহতের তালিকায়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা, কখনও কখনও তাদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের ঘটনার বিচারিক তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মুক্ত গণমাধ্যমের বিকাশে সরকার সচেতন বলে দাবি করলেও সাংবাদিক নির্যাতন-হত্যাকান্ডের ঘটনা সাংবাদিকদের অসহায়ত্ব বাড়িয়ে চলেছে।

ණ☛আবার সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির কারণেও সাংবাদিক হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনাগুলোতেউপযুক্ত বিচার পাওয়া যাচ্ছে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সকল প্রকার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হস্তক্ষেপ ও সংবাদকর্মীদের হয়রানি বন্ধসহ দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করা সরকারের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার হওয়াও জরুরি।

ණ☛উন্নয়ন কর্মকান্ড আর সরকারের মধ্যে আয়নার মতো কাজ করা সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রবণতা বন্ধ না হলে গণতন্ত্রের বিকাশ ও জনগণের প্রকৃত উন্নয়ন কখনই সম্ভব হবে না। প্রায় প্রায়ই সরকারের উদ্ধতন কর্মকর্তারা সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পরও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা ও হত্যার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। সুষ্ঠু গনতন্ত্র প্রসারে প্রয়োজন সাংবাদিকতার সাহসী কলাম।
সাংবাদিকের কলমের রক্তই আমাদের সামনে প্রকাশ করে দুর্নীতির গোপন তথ্য। কবে আমরা সেইদিন পাব যেদিন এদেশের কোন সাংবাদিক আর নির্যাতনের স্বীকার হবে না?

ණ☛ সাম্পতি অনলাইন নিউজ প্রের্টাল “খুলনার কন্ঠ”র সম্পাদক শেখ রানা ও প্রকাশক ইশরাত ইভা সাংবাদিক দাম্পত্বি বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়,একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে মিথ্যা ভুয়া বানোয়াট মামলা সাজিয়ে সাংবাদিক দাম্পত্বি ইসরাত ইভা ও তার স্বামীকে শেখ রানাকে গত এক বছর ধরে হয়রাণী করছে। গত বছরের ৫, ৭ ও ২৪ জানুয়ারী ভূমিদস্যু নিয়ে “খুলনার কন্ঠ” অনলাইন পোর্টালে তিন পর্বের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরই জের ধরে ভুমিদস্যু তকদির হোসেন বাবু খালিশপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা আজু করে।

ණ☛ ইতিপূবে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
ভূমিদস্যু তকদির হোসেন বাবু কর্তৃক অন লাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক খুলনার কন্ঠ’র সম্পাদক শেখ রানা ও প্রকাশক ইশরাত ইভার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে চাঁদা দাবির মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ অনলাইন প্রসক্লাবের ক্লাবের নেতৃতৃন্দ।

এ সময় গোপালগঞ্জ অনলাইন প্রসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক এম আরমান খান জয় মামলাটি প্রত্যাহার সহ অহেতুক সারাদেশের সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনেরও হুশিয়ারী ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *