বাগযুদ্ধটা ফের জমিয়েই তুলেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জং-উন তার ডেস্কেই পরমাণু বোমার বো
তাম আছে বলে হুমকি দেওয়ার পর পাল্টা জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, আমার কাছেও আছে পরমাণু বোমার বোতাম এবং এই বোমা আরও অনেক বড়।
জং-উন গত সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত নববর্ষের ভাষণে হোয়াইট হাউসের নেতৃত্বকে হুমকি দেওয়ার পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ পাল্টা জবাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন কিছুক্ষণ আগে বলেছেন, পরমাণু বোমার বোতাম নাকি সবসময় তার ডেস্কে থাকে। তার ক্ষয়প্রাপ্ত ও অনাহারী শাসনের কেউ কি তাকে জানাবে যে, আমার কাছেও পরমাণু বোমার বোতাম আছে, এই বোমা আরও বড় এবং তার দেশেরটার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তিনি কিম জং-উনকে খোঁচা মেরে বলেন, আমার পরমাণু বোমার বোতাম কিন্তু কাজ করে।
সোমবার সন্ধ্যায় এই টুইটের আগে ট্রাম্প তার সরকারের মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত মোকাবেলার নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়েও অ্যাকাউন্টে ডজন খানেক বার্তা ছাড়েন। এর আগে জং-উন তার ভাষণে বলেন, আমার টেবিলে আমি সবসময় পরমাণু বোমার বোতাম সক্রিয় রেখেছি। যেন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই যুদ্ধ শুরু করতে না পারে। পুরো যুক্তরাষ্ট্র এখন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের আওতায়- ওয়াশিংটনকে এ কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও নিজের বক্তব্যকে হুমকি বলেননি জং-উন। তার ভাষায়, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
এটা কোনো হুমকি নয়।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন জং-উন ও ট্রাম্প। জং-উন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বুড়ো বলেন তো, ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতাকে বলেন বেঁটে ও মোটা। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেন তো, তার বক্তব্যকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ বলে মন্তব্য করেন জং-উন। বিগত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দুই পক্ষ একেবারে তুমুল উত্তেজনায় জড়ালেও শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই ফের বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন জং-উন ও ট্রাম্প।