ফরহাদ মজহার দম্পতিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ

Slider বাংলার আদালত

281058_134

 

 

 

 

মিথ্যা তথ্যে অভিযোগ দায়েরের মামলায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আখতারকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম শুব্রত ঘোষ শুভ প্রসিকিউশন মামলা আমলে নিয়ে তাদের আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আদাবর থানার নন-জিআর শাখায় এ প্রসিকিউশন মামলাটি ডাকযোগে পাঠান মামলার বাদী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম। তিনি ফরহাদ মজহার ও ফরিদা আক্তারকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রসিকিউশন মামলা করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।

গত ৩১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম আদালতে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেটিতে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অপরদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও হয়রানির অভিযোগ দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলা দায়েরের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ৩ জুলাই ভোরে শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।

এদিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দুদিন পর ৯ ডিসেম্বর ফরহাদ মজহার রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ১ নম্বর বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

তিনি দাবি করেন, গত ৩ জুলাই ভোর ৫টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাকে খুলনা-যশোর সীমান্তের দিক দিয়ে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *