মায়ের কোলে নিশ্চিন্তেই ছিল ছয় মাসের শিশু খুশি। চলন্ত সিঁড়ি (এসক্যালেটর) দিয়ে নামার সময় আচমকাই কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায় সে।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে নার্সিংহোমে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। আজ রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় কলকাতা বিমানবন্দরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত খুশি দীনেশ ও সঙ্গীতা সোনির মেয়ে। তার বাড়ি রাজস্থানে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সোনি পরিবার দোতলায় চেক ইন সেরে একতলায় যাওয়ার জন্য এসকালেটরে উঠেছিলেন। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটে এই দুর্ঘটনা!
সূত্র আরো জানায়, দুর্ঘটনার পর প্রথমে সেখানেই শিশুটিকে পরীক্ষা করেন চিকিৎসক পি কে দাস। তখন শিশুটির কান থেকে রক্ত ঝরছিল। এ সময় চিকিৎসক শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
এরপরে খুশিকে নাগেরবাজারের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, খুশির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। সেই সময় তার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৭টায় মারা যায় সে।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশের সন্দেহ, তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়েই এই বিপত্তি। তাঁরা জানান, বিমানবন্দরের একতলায় ২৩এ থেকে ২৩ডি- এর মধ্যে চারটি গেট রয়েছে। কিন্তু অনেকেই ভুল করে দোতলায় ২৩ নম্বর গেটের সামনে অপেক্ষা করেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে নীচে নামার চেষ্টা করেন। দোতলা এবং একতলার মধ্যে যাতায়াতের জন্য লিফট থাকলেও ভিড়ের জন্য এসকালেটরে ওঠেন। দীনেশ-সঙ্গীতারদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
সূত্র: আনন্দবাজার