বিশ্ব জুড়ে উষ্ণায়নের বার্তা বারবার দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবুও বন জঙ্গল কাটছে মানুষ, গড়ে উঠছে কংক্রিট।
তবে, এবার বোধহয় পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। অন্তত কানাডার মানুষজন এমনটাই মনে করছেন। কারণ, তাদের দেশ মঙ্গলের থেকেও ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আবহাওয়া পরিবর্তন এতটাই চরম প্রভাব ফেলেছে পৃথিবীতে।
মঙ্গল, আন্টার্কটিকা কিংবা মাউন্ট এভারেস্টের সঙ্গে কম্পিটিশন দিতে পারে কানাডা। এতটাই ঠাণ্ডা পড়েছে সেখানে। বিভিন্ন শহরে -২০ ডিগ্রি থেকে -৩০ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা। এমনকি কোথাও কোথাও -৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমেছে, যা বাসিন্দাদের জন্য সত্যিই আতঙ্কের। এই তাপমাত্রা পৃথিবীর কিংবা পৃথিবীর বাইরের শীতলতম জায়গাগুলির তাপমাত্রার সঙ্গে তুলনার যোগ্য।
দক্ষিণ মেরুতে বর্তমানে গ্রীষ্মকাল। এখানে এখন মাত্র ঘণ্টাখানেকের জন্য সূর্য অস্ত যাচ্ছে। এই অঞ্চলের তাপমাত্রা এখন -১৬ ডিগ্রি, অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুর থেকেও ঠাণ্ডা কানাডা।
নাসার মহাকাশযান ‘কিউরিওসিটি’ তে মঙ্গলের যে আবহাওয়া ধরা পড়ছে তাতে, লালগ্রহের বিকেলের তাপমাত্রা থাকছে -২৩ ডিগ্রি। এই আবহাওয়ার সঙ্গে কানাডার বিশেষ তফাৎ নেই। কানাডার টরোন্টোতে তাপমাত্রা নেমেছে -১৯ ডিগ্রিতে, মন্ট্রিয়ালে -২৪ ডিগ্রিতে, কালগারিতে -২৩ ডিগ্রিতে এবং উইনপেগে -২০ডিগ্রিতে। তবে রাতের তাপমাত্রা মঙ্গলে -৮০ ডিগ্রি। এটা শুনে কানাডার মানুষ অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার ওইমইয়াকনে -৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায় তাপমাত্রা। এটাই পৃথিবীর শীতলতম বাসযোগ্য জায়গা।