অন্য রকম একটা সংবাদ সম্মেলনে আর আসা হলো না জিম্বাবুয়ের। বিজয়ী বীরের বেশে না, পরাজিতের বেশেই কাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি আবার। সফরের অন্যান্য সংবাদ সম্মেলনগুলোর মতোই।
জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি হয়ে আসা কোচ স্টিভেন ম্যাঙ্গোঙ্গো সবার হতাশার কথা জানালেন খোলাখুলি, ‘ওয়ানডে সিরিজে ০-৫ ব্যবধানে হারা খুব হতাশার। আরো বেশি হতাশার এ কারণেই যে, আমাদের অন্তত কয়েকটি ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। বিশেষত ২১ রানে হারা চতুর্থ ওয়ানডেতে জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু জিততে পারিনি।’ স্বাগতিকদের কৃতিত্ব দিতে অবশ্য কার্পণ্য করেননি তিনি, ‘বাংলাদেশকে আমাদের অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা খুনে মানসিকতা নিয়ে আমাদের কোণঠাসা অবস্থা চেপে ধরে হারিয়েছে। আর মাঠে আমাদের চেয়ে বেশি করে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পেরেছে। সে কারণে আমি বলব, যোগ্য দলই ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে।’
বাংলাদেশ যে নিজেদের কন্ডিশনে ভয়ংকর দল, শুরু থেকে সেটি বলে আসছিল জিম্বাবুয়ে। তাই বলে টেস্ট-ওয়ানডে সিরিজে আট ম্যাচের মধ্যে একটিও জিততে পারবে না! বিশেষত যখন অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়ে চনমনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এদেশে পা রেখেছিল আফ্রিকানরা। ওই প্রসঙ্গে আবারও সেই বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন ম্যাঙ্গোঙ্গো, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আমরা বাংলাদেশে এসেছিলাম। সেটি ছিল দারুণ ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশে এসে খেলা কখনোই সহজ না। আমি প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই বলেছিলাম, নিজেদের জঙ্গলে এই বাঘ ভয়ংকর, তারা যেকোনো দলকে হারাতে পারে। ওদের দারুণ সব বোলার আছে। সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। এ কারণে আমাদের হারানোর জন্য তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তো বটেই, দর্শকরাও চাপে রেখেছিলেন বলে দাবি তাঁর, ‘বাংলাদেশের লোকজন ক্রিকেট ভালোভাবে, তাদের দলকে সমর্থন করে। মাঠে আমাদের ১১ জনকে খেলতে হয় অন্তত ১৫ হাজার স্বাগতিক দর্শকের বিরুদ্ধে। এটি বাংলাদেশকে সাহায্য করে অবশ্যই। আর প্রতিপক্ষকে ফেলে দেয় চাপে। আমরাও সেই চাপে ছিলাম নিঃসন্দেহে।’
সব ম্যাচ হারলেও সিরিজ থেকে শূন্য হাতে ফিরছে না জিম্বাবুয়ে। কোচের দাবি সেটিই, ‘হারলেও আমাদের জন্য এখান থেকে পাওয়ার যে কিছু নেই, এমন না। আমাদের বোলাররা ছিল দুর্দান্ত। পাঁচ ম্যাচে ওরা ভালো বোলিং করেছে। কারো কারো খেলায় ব্যক্তিগত ঝিলিক দেখা গেছে। তরুণ সলোমান মায়ারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা তো হলো দুর্দান্ত। এখান থেকে আমরা এগিয়ে যাওয়ার রসদ নিতে পারি।