ক্রীড়া প্রতিবেদক : কিশোর দর্শক পিটিয়ে ম্যাচ রেফারির শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়েও আরেকটি গুরুতর অপরাধের অভিযোগ সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জানা গেছে, জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার সরাসরি এই ভাষায় হুমকি দিয়ে বসেন ম্যাচ অফিশিয়ালদের, ‘আমার নামে বিসিবিতে অভিযোগ করা হলে খবর আছে!’
ম্যাচ রেফারি শওকাতুর রহমান তখন পাল্টা জানতে চান, ‘কার খবর আছে?’ জবাব পান, ‘আপনাদের সবার।
’ বাংলাদেশ ক্রিকেটে দীর্ঘ তিন-চার দশকের বিচরণ যাঁর, সেই শওকাতুরের পক্ষে একজন তরুণ ক্রিকেটারের হুমকি-ধমকি হজম করা কঠিনই। দুটি ঘটনাই তাই নিজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। সেই সঙ্গে স্থানীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাও সাব্বিরের বিরুদ্ধে খেলা চলার সময় মাঠে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। সব মিলিয়ে আবারও বড় ধরনের শাস্তির মুখে পড়ার অপেক্ষায় রাজশাহীর এই ক্রিকেটার।
‘আবারও’ কারণ এরই মধ্যে বহুবার নানাবিধ শাস্তি তিনি পেয়েছেন। মাঠের বাইরে শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনায় ২০১৬-র বিপিএলে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা গুনেছেন। জরািমানা হয়েছে বিপিএলেই আম্পায়ারকে গালমন্দ করার জন্যও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এরই মধ্যে তিনটি ‘ডিমেরিট’ পয়েন্ট পাওয়া সাব্বিরের শৃঙ্খলাভঙ্গের নতুন ঘটনাটি সদ্যসমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে নামার পথে গ্যালারি থেকে এক খুদে দর্শক মজা করে তাঁকে ‘ম্যাও’ বলে ডাক দেন।
সেটি সম্ভবত তাঁর চোখের রঙের কারণেই। খেলা চলার সময়ই পরিচিত এক লোককে দিয়ে ১০-১২ বছরের ওই ছেলেকে ডেকে আনেন সাব্বির। এরপর মাঠের দুই আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে বাইরে গিয়ে সাইটস্ক্রিনের পেছনে ওই কিশোরকে মারেন একাধিক থাপ্পড়ও। এ ঘটনার সঙ্গে ম্যাচ রেফারিকেও হুমকি দেওয়া যোগ হয়ে বড় শাস্তি নিশ্চিতই হয়ে গেছে সাব্বিরের। বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির সহসভাপতি শেখ সোহেল দিলেন সেই ইঙ্গিতই, ‘শৃঙ্খলার প্রশ্নে আমরা সাকিবের মতো খেলোয়াড়কেও ছাড় দিইনি। সাব্বিরকেও কোনো ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রতিবেদন হাতে এখনো না পেলেও সাব্বিরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। এটা তো গুরুতর অপরাধ। ’