ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। এর কয়েক মিনিট আগে তিনি রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে পৌছান।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন। তিনি দুদকের ১৩তম সাক্ষীর সাক্ষ্য খণ্ডানোর জন্য যুক্তি তুলে তার যুক্তিতর্ক শুরু করেন।
আইনজীবীদের মধ্যে আরো উপস্থিত আছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সেক্রেটারি মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
দুদকের পক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অ্যাডভোকেট মীর আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন মানিক প্রমুখ।
দুদকের পক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, অ্যাডভোকেট মীর আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন মানিক প্রমুখ।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।