দেড় মাস নিখোঁজ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোবাশ্বার বাড়ি ফিরে এসেছেন আজ শুক্রবার সকালে তাঁর বোন তামান্না তাসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তামান্না তাসমিন বলেন, আসার আগে খুব সম্ভবত অটোরিকশার চালকের মুঠোফোনটি ব্যবহার করে ফোন করেন মোবাশ্বার। ফোন করে তিনি বাড়ির কাউকে নিচে গিয়ে অটোরিকশার ভাড়া শোধ করতে বলেন।
মোবাশ্বার হাসানের শারীরিক অবস্থা এখন কেমন আছে? জানতে চাইলে তামান্না বলেন, তাঁর স্বাস্থ্যগত তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। যেই পোশাকে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন সেই পোশাকেই ফিরে এসেছেন।
উনি কীভাবে ফেরত এসেছেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যদের মোবাশ্বার হাসান জানিয়েছেন, কে বা কারা তাঁকে বিমানবন্দর সড়কে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকেই তিনি অটোরিকশায় বাসায় এসেছেন।
তামান্না বলেন, এখনো মোবাশ্বার তাঁদের তেমন কিছু জানাননি। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মানসিক চাপমুক্ত রাখতে চাচ্ছেন। তিনি এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন।
গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বার হাসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি তাঁর পরিচিতজনদের কাছে সিজার নামে পরিচিত। সরকারের এটুআই প্রকল্পের একটি সভায় অংশ নিতে ওই দিন তিনি আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার পরই নিখোঁজ হন।
সম্প্রতি মোবাশ্বার বাংলাদেশে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে একটি গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশ্বায়নের ছায়ায় বাংলাদেশের ভেতরে কীভাবে রাজনৈতিক ইসলাম এবং উগ্রবাদী সহিংসতা ছড়াচ্ছে, সে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন তিনি সর্বশেষ লেখায়।