১০৩ বছর পর পাওয়া গেল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ। ‘এইচএমএএস এই ১’ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া যৌথবাহিনীর প্রথম সাবমেরিন।
১৯১৪ সালে পাপুয়া নিউগিনির রাবাউল থেকে ৩৫ জন অস্ট্রেলিয়ান ও বৃটিশ নাবিকসহ উধাও হয়ে যায় সাবমেরিনটি। এটি খোঁজা জন্য গঠিত ১৩ নম্বর সার্চ টিম পাপুয়া নিউগিনির ডিউক অব ইয়র্ক দ্বীপের কাছে পায় তা।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, এর ফলে দেশের নৌযানসংক্রান্ত সবচেয়ে পুরনো রহস্যের সমাধান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যারাইস পেইন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সামুদ্রিক নৌযানের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার নিখোঁজ সাবমেরিনের সন্ধান লাভের ঘটনা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রয়েল অস্ট্রেলিয়ান নেভি ও যৌথ বাহিনীর প্রথম সাবমেরিন হারানোর ঘটনা ছিল এটি।
সমুদ্রের নিচে অনুসন্ধান চালাতে সার্চ টিম একটি আন্ডারওয়াটার ড্রোন ব্যবহার করে যেটি সমুদ্রের তলদেশের ৪০ মিটার (১৩১ ফুট) গভীর জলের ওপর ভেসে অনুসন্ধান চালায়। ৩০০ মিটারের বেশি গভীর পানিতে পাওয়া যায় ডুবোজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ডুবোজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত স্মরণসভা আয়োজন করে সার্চ টিমের সদস্যরা। সাবমেরিনের নাবিকদের বংশধরদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার স্থানে স্মৃতিস্মারক স্থাপনের বিষয়ে পাপুয়া নিউগিনি কর্তৃপক্ষের সাথেও আলোচনা করবে তারা।