সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে গাজীপুর ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের সাফল্য

Slider ঢাকা

si jakir hossain

 

 

 

 

 

 

 
তুহিন সারোয়ারঃ
গাজীপুর সদর থানার অর্ন্তগত বাইপাস ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসেবে গত ০১/১০/২০১৬ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই, জাকির হোসেন কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য দেখিয়েছেন এলাকাবাসীকে। যোগদানের ১৫ মাসে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার,বিভিন্ন মামলার আসামী গ্রেফতারসহ অপরাধ দমনে ব্যপক ভুমিকা রাখছেন তিনি।ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের বিদায়ী ২০১৭ইং সালে ৩০০০ হাজার পিস ইয়াবা,২০০ পিছ ফেন্সিডিল,১৫ কেজি গাজা উদ্ধার করেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে ৪২টি মাদকের মামলার বিপরীতে ৭২ জন আসামীকে গ্রেফতার। অপরদিকে ০৪,টি অপহরন মামলার বিপরীতে ১০ জন আটক ও ০৪,জন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে। ১৩ টি ধর্ষন মামলার বিপরীতে ১৩ জন আসামীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্প সূত্রে জানা যায় যে, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গাজীপুর ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্প দালাল মুক্ত রাখা, খুন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক নিয়ন্ত্রন আবাসিক হোটেলে পুলিশি অভিযান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রসংশনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন সদা হাস্যউজ্জল গাজীপুর বাইপাস ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস,আই, জাকির হোসেন। তিনি এ ক্যাম্পে যোগদানের পর থেকেই জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদক নিয়ন্ত্রন ও ডাকাতি রোধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ কারনে পুর্বের তুলনায় ক্রমশ এ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।তার দায়িত¦ প্রাপ্ত এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক বর্তমান এর প্রতিনিধি সাথে একান্ত আলাপচারিতায় ইনচার্জ এস,আই,জাকির হোসেন জানান, সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাংবাদিকসহ সকলের আন্তরিক সহযোগীতা পেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার কারনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পুর্বের ন্যায় এখন আর প্রকাশ্যে নারীদের সোনার গহণা ছিনতাই, চালকদের খুন করে মোটর সাইকেল ছিনতাই হচ্ছে না।ঝুকিপূর্ণ এলাকায় রাত জেগে ইনচার্জ এর নেতৃতে¦ পুলিশী টহলের পাশাপাশি পাহারার ব্যবস্থার কারনে পুর্বের ন্যায় গুলিবর্ষণ করে ডাকাতি, মালপত্র লুটপাট ও জখমের ঘটনাও ঘটছে না।তার সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত নির্দেশনা এবং তৎপরতার কারনে রাতে মানুষ নিরাপদে ও শান্তিত ঘুমাতে পারছে বলেও দাবি করেন ইনচার্জ এস,আই,জাকির হোসেন।তবে জনবল সংকট,প্রচন্ড শীত,ও অনিদ্রার কারনে এবং কিছ কিছু এলাকায় অনুন্নত যোগাযোগের জন্য পুলিশের কাজকর্মে কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে বলেও তিনি জানান।ঘুষ নিয়ে আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পুলিশের বিষয়ে এসব বিচ্ছিন্ন অভিযোগ থাকবেই। পোষাকের ভিতরে আমাদেরও মন আছে ,অনেক সময় সামান্য অপরাধের কারনে গ্রেফতার হওয়া কোন তর”কে তার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাকে সংশোধনের জন্য প্রাথমিক ভাবে সর্তক করে মানবিক কারনে আমরা ছেড়ে দিই। এটাকে যদি কেউ ঘুষ গ্রহন করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে তাহলে বিষয়টি খুব দুঃখজনক। তাছাড়া অনেক সময় গ্রেফতার হওয়া আসামীকে ছেড়ে দেবার জন্য সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক তদ্বির ও হস্তক্ষেপ বিব্রত অবস্থার সৃষ্টি করে।

এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক তদ্বির ও হস্তক্ষেপ বন্ধসহ এবং সকলের সহযোগীতা পেলে মাদকসহ অপরাধমুলক কর্মকান্ড পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব।পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ এলাকার আইন-শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে এলাকার সচেতন মহল, রাজনৈতিক নের্তৃবন্দ, জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *