গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অসময়ে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

Photo-3(1)

 

 

 

 
এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ:

বসত বাড়ির আঙ্গিনায়, উচু জমিতে, অসময়ে তরমুজের চাষ করে বাম্পার ফলনের আশায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামের মনিশংকর ফলিয়া। তরমুজ মৌসুমের চেয়ে খরচ অনেক বেশি হলেও অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন এই কৃষক।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামের মনিশংকর ফলিয়া একজন কৃষক। পেশায় একজন ভাল কৃষক হওয়াতে নির্ধারিত সময়ে তরমুজের চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। সেই সুবাদে অসময়ে তরমুজের চাষ করা যায় কি না এটি যাচাই বাচাই করার জন্য তাঁর এ অভিপ্রায়। তাছাড়া অকালে তরমুজ চাষ করতে পারলে বেশ লাভবানও হওয়া যায়।
অক্টোবরের প্রথম দিক দিয়ে মাদা তৈরি করে তরমুজের বীজ রোপণ করেন কৃষক মনিশংকর ফলিয়া। প্রথমে শুরু করেন বাড়ির উঠানের উপরে। বীজ লাগানোর কয়েক দিন পরে যখন চারা গাছ মাটির উপরে উঠতে লাগল তখনি অন্য এক উচু জমিতে আরো এক বিঘায় তরমুজের চাষ শুরু করেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনি মোট ২০৮ শতাংশ (৪বিঘা) জমিতে তরমুজের চাষ করেন। এক একটি মাদায় ৪-৫ টি করে তরমুজের গাছ রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫-৭টি ফল আছে। ফলগুলো ২ কেজি থেকে শুরু করে ৮কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে।
কৃষক মনিশংকর ফলিয়া বলেন, আমি মোট ২০৮ শতাংশ জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে এ বছর প্রথম অসময়ে তরমুজ চাষ করি। প্রথম থেকেই গাছ গুলো খুব ভাল দেখা গেছে। গাছে কোন রোগ বালাই নেই। যখন ফল আসে সে সময়ও গাছ গুলো দেখতে ভাল। প্রতিটি তরমুজ ৫ থেকে ৮ কেজি ওজন হয়েছে। একটা ক্ষেতের গাছ গুলো আগা থেকে লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকারের সার ও কিটনাশক ব্যবহার করেও কোন ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় ১ হাজার তরমুজ হয়েছে। কিছু তরমুজ গাছ পাঁকার আগেই লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এ জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে তরমুজ গাছে সার ও কিটনাশক ব্যবহার করে যাচ্ছি। এই তরমুজ গুলো সঠিক ভাবে পরিচর্যা করে পাঁকাতে পারলে প্রায় ২শ’ ২৫ মণ তরমুজ ফলবে। প্রতি মণ ২ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারলে আমি অনেক টাকা লাভবান হতে পারব বলে আশা রাখি।
স্থানীয়রা জানান, মৌসুমি তরমুজের চাষ অল্প দিনের মধ্য শুরু হতে যাচ্ছে। অসময়ে তরমুজ চাষে বেশ লাভ হলেও মৌসুমি তরমুজ চাষের চেয়ে সতর্কতা বেশি। এ সময়ে আবহাওয়া তরমুজের জন্য প্রতিকূল থাকায় চাষে ঝুঁকি বেশি।
কোটালীপাড়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অফিসা রমেন্দ্র নাথ হালদার, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, পার্থ প্রতিম বৈদ্য, মনজুর ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার কৃর্ত্তিবাস পান্ডে, তরমুজ ক্ষেতে উপস্থিত থেকে কৃষক মনিশংকর ফলিয়াকে সার ও কিটনাশক ব্যবহারে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *