সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট যানবাহন চালকরা

Slider সিলেট
1488995436_p-18
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কানাইঘাট থানার নিয়ন্ত্রণাধীন সড়কের বাজার ও বিয়ানীবাজার থানার চারখাই এলাকায় ছোট বড় যানবাহন আটকিয়ে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমন অভিযোগ ছোট বড় যানবাহনের চালকরা হরহামেশা করে আসলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না বলে একাধিক চালক জানিয়েছেন। প্রতিকার চাইতে গেলে চাঁদার পরিমান বাড়ে বলেও অনেকের অভিযোগ। ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ছোট বড় যানবাহনের চালক ও মালিকরা।
একাধিক চালক অভিযোগ করে জানান, কানাইঘাটের সড়কের বাজার ও বিয়ানীবাজারের চারখাই এলাকায় বিনা কারণেই ট্রাফিক পুলিশ গাড়ী আটকিয়ে প্রায় জিম্মি করে টাকা আদায় করে। ট্রাফিক পুলিশ গাড়ী আটকানোর পর চালকরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন আইনের কাছে। বৈধ কাগজপত্র থাকারও পরও বাধ্য হয়ে অনেকে ঝামেলা এড়াতে ট্রাফিক পুলিশকে উৎকোচ দিয়ে সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচল করেন।
সম্প্রতি রোগী বহনকারী গাড়ী আটকিয়ে চাঁদাবাজি করে জনরোষেও পড়েছে সড়কের বাজার এলাকার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এরপরও থেমে নেই তাদের চাঁদাবাজি।
শাহবাগ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি চালক জানান, গাড়ী নিয়ে সড়কে নামলেই কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার থানার ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, টেম্পুসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন আটকিয়ে কাগজপত্র পরিক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। অনেক যানবাহন ও চালকদের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও আইনের প্যাঁচ থেকে বাচতে  বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়ে কেটে পড়েন। এমন ঘটনা নিত্যদিনের বলে জানান চালক ও এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে সড়কের বাজারের দায়িত্বরত ট্রাফিকের সহকারী সার্জেন্ট দীপংকর পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি চালকদের এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রামবাংলা নিউজকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের কাছে বক্তব্যে চাওয়া হলে তিনি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *