মানিক মিয়া এভিনিউতে খেলায় মাতলো শিশু-কিশোররা

Slider জাতীয়

183815A-Nur

 

 

 

 

রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ প্রথমবারের মতো গাড়িমুক্ত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে সংসদ ভবনের সামনের এই সড়কে নানা খেলায় মেতে ওঠে শিশু-কিশোররা।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিমাসের প্রথম শুক্রবার সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রেখে তা  খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রতিমাসের প্রথম শুক্রবার মানিক মিয়া এভিনিউ ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত থাকবে। সে অনুযায়ী আজ ১০ নভেম্বর সরকারিভাবে ঢাকায় কার ফ্রি স্ট্রিটের কর্মসূচির যাত্রা শুরু করে। ইতিপূর্বে বছরে শুধুমাত্র এক দিন দিবস পালন হলেও বিশ্বের আধুনিক শহরগুলির ন্যায় ঢাকায় নিয়মিত ‘কার ফ্রি স্ট্রিট’ পালনের কর্মসূচি শুরু হলো।

এদিকে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মানিক মিয়া এভিনিউয়ের একটি অংশে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সেখানে ছবি আঁকা, ঘুড়ি ওড়ানো, যোগ ব্যায়াম, প্রাণায়াম, মেডিটেশন, দাবা ও লুডু খেলা, সাইকেল শেখা ও বন্ধুর সঙ্গে আড্ডাসহ নানা আয়োজন করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়।

গাড়িমুক্ত সড়ক উদ্বোধন করতে গিয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহম্মদ বলেন, “৬ অক্টোবর প্রথম শুক্রবার মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার কারণে এবং ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস থাকায় আমরা কার ফ্রি স্ট্রিট উদযাপন করতে পারিনি।

তবে আগামী মাস থেকে যথারীতি প্রতিমাসের প্রথম শুক্রবার সড়কটি গাড়িমুক্ত থাকবে। “এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। পরিকল্পনায় ব্যক্তিগত গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হলে দূষণ, জ্বালানি ব্যয়, যানজট বৃদ্ধি পায়। এ জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে সপ্তাহজুড়ে ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালন করা হয়। আবার অনেক শহর সপ্তাহ বা মাসের নির্দিষ্ট দিনে বিভিন্ন সড়ক গাড়িমুক্ত রাখে। আমরাও সেটা শুরু করলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *