‘রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিন, সহিংসতা বন্ধ করুন’

Slider টপ নিউজ

82923_12

 

 

 

 

 

 

আবারো রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানালেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁ। তিনি এও বলেছেন, যদি নাগরিকত্ব না হলেও রোহিঙ্গাদেরকে এমন একটি ন্যূনতম আইনি মর্যাদা দিতে হবে, যাতে করে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন। এরই মধ্যে রাখাইনে নৃশংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরাঁ। তিনি বুধবার জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অভিবেশন উদ্বোধন করেন। এরপর প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেন। এ খবর দিয়েছে জাতিসংঘ নিউজ সেন্টার। ওই সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টনিও গুতেরাঁ বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আমি সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। আহ্বান জানাচ্ছি সহিংসতা বন্ধের, আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং যেসব মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তাদের ফিরে আসার অধিকার দিতে। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল উদঘাটনের জন্য একটি কার্যকর কর্ম পরিকল্পনারও আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। অ্যান্টনিও গুতেরাঁ বলেন, এই সঙ্কট দশকের পর দশক চলছে। তা এখন চড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমার সীমান্তের বাইরে। এতে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হচ্ছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে। তার আগে অ্যান্টনিও গুতেরাঁ ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। এরও আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লেখেন নিরাপত্তা পরিষদে। গত সপ্তাহে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তিনি রাখাইন পরিস্থিতিকে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন। ওই সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার। কিন্তু সেই সংখ্যা গত কয়েকদিনে প্রায় চার লাখে পৌঁছেছে। এখনও হাজার হাজার মানুষ আসছে। তারা অনাহারী, অপুষ্টিতে ভুগছে। আশ্রয় খুঁজছে তারা। অ্যান্টরিও গুতেরাঁ বলেন, এসব অসহায় মানুষের জন্য সাধ্যমতো মানবিক সহায়তার জন্য আমি সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি, বেসরকারি সংগঠন ও অন্যদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নিশ্চিত করতে অর্থাৎ তাদের অবাধ প্রবেশাধিকার দিকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। এর প্রেক্ষিতে হিউম্যানিটারিয়ান কমিউনিটি বা মানবিক ডাকে সহায়তাকারীরা রাষ্ট্রহীন এসব রোহিঙ্গাদের জন্য তিন মাসের জন্য ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *