ইসলামিক বন্ডের মাধ্যমে নতুন প্রোডাক্ট চালু করা হবে

অর্থ ও বাণিজ্য বাংলার সুখবর

shapon kumar bala dse ceoঢাকা : ইসলামিক বন্ডের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নতুন প্রোডাক্ট চালু করা হবে। এ জন্য ক্লিয়ারিং করপোরেশন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কারণ, ক্লিয়ারিং করপোরেশন ছাড়া অন্যান্য মার্কেট বা ডিরাইভেটিভ মার্কেটকে সাধারণত ক্যাশ মার্কেট বলা হয়।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেয়ারবাজারের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. স্বপন কুমার বালা।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম এবং এ্যাপোলো ইস্পাত এ গোলটেবিল আলোচনার যৌথ আয়োজক।
ড. বালা বলেন, ক্লিয়ারিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করা হবে। আর মাল্টি প্রোডাক্ট আসবে অটোমেশন চালু হলে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডিএসইতে অটোমেশন চালু হচ্ছে। এরপর আইপ্যাড ও মোবাইল ফোনে সহজে ট্রেডিং করা যাবে। আর এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের মাধ্যমে ডিএসইতে নতুন প্রোডাক্ট চালু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট ভাইব্রেন্ট হলে ওটা অল্টারনেটিভ মার্কেট হবে। বৈঠকে উদ্যোক্তাদের বোনাস শেয়ার বিক্রির বিষয়ে অধ্যাপক আবু আহমেদের বক্তব্যের জবাবে ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, বোনাস শেয়ার বিক্রির বিষয়ে আমাদেরও আপত্তি আছে।

ডিএসই এমডি বলেন, ডিএসই ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার পর রেগুলেটর এবং আমাদের মধ্যে যোগসূত্র বেড়েছে। প্রথমে হয়ত রেগুলেটর আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটা যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট গত ১০ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে এবং পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে তা পাস হতে পারে। তবে এতে কি আছে এখনো তা প্রকাশ করা হয়নি। এ রকম একটা পাবলিক ইস্যুতে কেন এতো গোপনীয়তা তা আমার জানা নেই।
অধ্যাপক আবু আহমেদ ভিন্ন লাইনের কোম্পানির একীভূতকরণের বিরোধীতা করে এ ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। এর জবাবে ডিএসই এমডি বলেন, কোম্পানির একীভূতকরণের বিষয়ে বিদ্যমান আইনে অসঙ্গতি রয়েছে। আইনকানুন বদলানো না গেলে স্টক এক্সচেঞ্জের করার কিছু নেই।
ফান্ড ব্যবস্থাপকদের দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে বালা বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৮টি ফান্ড এসেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে কোনো ফান্ড আসেনি। এর পেছনের কারণ সম্পর্কে বলা যায় এটা ফান্ড ব্যবস্থাপকদের দুর্বলতা। এছাড়া এ ক্ষেত্রেও আইনী দুর্বলতা রয়েছে। ফান্ড ম্যানেজারদের বিষয়ে রেগুলেটরী বডিকে আরও কঠোর হতে হবে।
তিনি বলেন, কোয়ালিটি কোম্পানি কিভাবে আনা যায় সেদিকে জোর দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দুর্বলতা হচ্ছে ভালো কোম্পানি আসতে চায় কিনা তা বড় বিষয়। এখানে যে বিষয়টি কাজ করে তা হচ্ছে ওভার রেগুলেটেডে মার্কেট। সব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে চলে যাবে এ রকম চায় না অনেক কোম্পানি।
রবিবারের দর পতনের বিষয়ে ড. বালা বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো মার্জিন ঋণ খেলাপীদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এ কারণে দর পতন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আস্থা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন বোর্ডে যারা আছেন তারা অভিজ্ঞ এবং প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
সিএমজিএস সভাপতি ও দ্য রিপোট২৪ডটকমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে চলমান এ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন- ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি মো. শাকিল রিজভী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মনোনীত) ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএমবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *