রাবি শিক্ষক হত্যা : সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী আটক

Slider বাংলার আদালত

image_154422.shofiul-1রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের (রাবি) সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক শফিউল ইসলাম হত্যার অভিযোগে সন্দেহভাজন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আরিফুল ইসলাম মানিকসহ তার ৫ সহযোগীকে আটক করেছে র‍্যাব। মানিক রাজশাহীর কাঁটাখালীর পৌরসভার যুবদলের নেতা বলে জানা গেছে। রবিবার তাদের আটকের কথা জানায় র‍্যাব।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের সবাইকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। ২ দফায় আবারো ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে অধ্যাপক শফিউল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বক্তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, গতকাল রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশের এক অনুষ্ঠানে হত্যা মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার।
তিনি বলেন, মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
গত শনিবার রাবি সিনেট সদস্য ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং সোসাইটি (বিহাস) এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে কে বা কারা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যার ঘটনা নতুন নয়। ২০০৬ সালে খুন হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের। ওই ঘটনায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল শিবিরের তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অর্থনীতির অধ্যাপক ড. ইউনুসকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যার ঘটনায় জেএমবির দুই সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *