পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীর সন্তান প্রসব, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি!

Slider সারাবিশ্ব

72225_x2ভারতের রাজধানী দিল্লির মুখার্জিনগরের একটি স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করায় শৌচাগারে যায় স্কুলটির দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। আর সেখানে অপরিণত একটি অবৈধ সন্তান জন্ম দেয় সে।

গত বৃহস্পতিবার ১৫ বছরের কিশোরীর এই অকাল সন্তান প্রসবের ঘটনা ভারতজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, ৫১ বছরের তার এক প্রতিবেশী এক বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন। এই এক বছরের মধ্যে তাকে চার-পাঁচবার ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, এ ঘটনা গোপন রাখতে ওই কিশোরীকে টাকাও দিতেন ওই তিনি।

পরে ঘটনার শিকার কিশোরী ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে দিল্লিতে বাস করেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।

কিশোরীর সন্তান প্রসবের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানান, ধর্ষণের পর গর্ভপাতের জন্য ওই কিশোরীকে কিছু ওষুধ দিয়েছিলেন তিনি। পরে ওই কিশোরী তাকে পেটে ব্যথার কথা জানালেও গর্ভপাতের ওষুধ যে কাজ করেনি সেটি তিনি বুঝতে পারেননি।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গর্ভপাতের ওই ওষুধই জটিলতা তৈরি করেছে। যে কারণে ২৬ সপ্তাহের অপরিণত বাচ্চা প্রসব করেছে কিশোরী।

এতদিন ধরে পেটে ব্যথা হলেও ওই কিশোরীর বাবা-মা গর্ভধারণের বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তারা এটাকে গ্যাসট্রিকের সমস্যা ভেবেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *