ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতা আরো বাড়াতে হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

টপ নিউজ
image_154083.shahriyaralomপররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ ও ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে ঢাকা-দিল্লির বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরো জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী  বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ ও ভারত করা সম্ভব। এতে দু’দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি আজ নগরীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত নাগরিক সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সমিতির নির্বাহী সভাপতি জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দারিদ্র্য। দু’টি দেশের অগ্রগতিতে দারিদ্র্য বিমোচনে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি এক্ষেত্রে দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এতে তাদের আবেগ ও প্রত্যাশা অনুধাবনে সহায়ক হতে পারে।
তিনি ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফর এবং ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের পর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান ও সাবেক সরকারের সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ সকল অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে তিন বিঘা করিডোর সার্বক্ষণিক উন্মুক্ত রাখা, ২০১১ সালে স্থল সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত প্রটোকল স্বাক্ষর, ভারতের বাজারে শুল্ক ও কোটা মুক্ত প্রবেশ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে স্থল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, সীমান্ত হাট স্থাপন, ভারত থেকে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জোদারে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ। তিনি বলেন, এই সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর দু’সরকারের মধ্যে কমপক্ষে ৩৩টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে নাজমুল হক প্রধান এমপি, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, শিল্পী ড. ইনামুল হক, এড. জাহাঙ্গীর আলম খান, সাংবাদিক আহসান উল্লাহ এবং ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের তথ্য ও রাজনীতি বিষয়ক কাউন্সিলর সুজিত ঘোষ অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *